একাকীত্বের অনুভব থেকেই ‘ভোগ’: পরমব্রত
RBN Web Desk: একাকীত্ব মানুষকে ভেতরে ভেতরে দুর্বল করে, যে দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে মনের ভেতর প্রবেশ করতে পারে অলৌকিক কিংবা অতিপ্রাকৃত বিষয়ও। খানিকটা এমনই কারণ ছিল অভীক সরকারের গল্পটিকে বিষয় হিসেবে বেছে নেওয়ার, জানালেন পরিচালক পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় (Parambrata Chattopadhyay)। গতকাল তাঁর পরিচালিত ‘ভোগ’ ওয়েব সিরিজ়ের শিল্পীদের নিয়ে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন তিনি পরম। এই সিরিজ়ে অভিনয় করেছেন অনির্বাণ ভট্টাচার্য (Anirban Bhattacharya), পার্ণো মিত্র (Parno Mittra), রজতাভ দত্ত (Rajatava Dutta), সুদীপা বসু (Sudipa Basu) ও শুভাশিস মুখোপাধ্যায় (Subhasish Mukhopadhyay)। অনুষ্ঠানে পরমব্রতর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন অনির্বাণ, পার্ণো ও অভীক।
‘ভোগ’ তন্ত্রসাধনার এক বিশেষ দিক তুলে ধরে। খুব সহজে তন্ত্রসাধনার দর্শনকে বোঝা সম্ভব নয়। এও ঈশ্বরচিন্তা, তবে অন্য পথে। ঈশ্বরের সঙ্গে মিলনের তীব্র আকাঙ্ক্ষা মানুষকে টেনে নিয়ে যায় তন্ত্রের দিকে। তবে তন্ত্রের ভুল প্রয়োগে ফল হতে পারে মারাত্মক। গল্পের মূল চরিত্র অতীন (অনির্বাণ) একা থাকে। তার বাবা-মা মারা গিয়েছে। এক পরিচারিকা থাকেন, যিনি অভিভাবকের মতো।
আরও পড়ুন: ফেলুদা সিরিজ়ে চিরঞ্জিৎ
একদিন হঠাৎ একটি অজানা দেবীমূর্তি বাড়িতে নিয়ে আসে অতীন। সরস্বতীর মতো দেখতে সেই দেবীমূর্তি বাড়িতে আসার কিছুদিনের মধ্যে অদ্ভুত কিছু পরিবর্তন দেখা যায় অতীনের মধ্যে। এর মধ্যে বাড়িতে এসে আশ্রয় নেয় ডামরি (পার্ণো) নামের এক রহস্যময়ী নারী। তারপর ভয়ঙ্কর সব ঘটনা ঘটতে থাকে অতীনের বাড়িতে।
(বাঁদিক থেকে) অভীক, পরমব্রত, পার্ণো, অনির্বাণ
পরমব্রত জানালেন তিনি নিজের সঙ্গে অতীনের মিল খুঁজে পান। “যখন প্রথম ‘ভোগ’ পড়েছিলাম তখনই মিল পেয়েছিলাম। গল্পে অতীনের বাবা-মা নেই। আর্থিকভাবে স্বচ্ছল হওয়া সত্ত্বেও তার জীবনে ভীষণ একাকীত্ব রয়েছে। এই জীবনটা আমি নিজেই কাটিয়েছি একসময়। আমার নিজের অভিজ্ঞতা দিয়ে বুঝতে পেরেছিলাম আমি যদি অতীনের জায়গায় থাকতাম তাহলে কোন পথে এই অতিপ্রাকৃত বিষয় প্রবেশ করতে পারে,” বললেন তিনি।
অনির্বাণ জানালেন, “অতীন খুবই জটিল ও আবেগপ্রবণ চরিত্র। এই গল্প একেবারেই চড়া দাগের থ্রিলার নয়। গল্পের ভেতর একটা মনস্তাত্বিক টানাপোড়েন আছে যেটা দর্শকের সঙ্গে থেকে যাবে।”
১ মে থেকে হইচইয়ে দেখা যাবে ‘ভোগ’।
