অন্যত্র শুটিং? ফেডারেশনের নিশানায় ‘আমাদের এই পথ যদি না শেষ হয়’
RBN Web Desk: করোনা ভাইরাসের জেরে হওয়া লকডাউনে টলিপাড়ায় শুটিং বন্ধ। ফলত মেগাধারাবাহিক নির্মাতাদের মাথায় হাত। গতবছর দীর্ঘমেয়াদী লকডাউনে পুরনো ধারাবাহিকগুলি সম্প্রচার করেছিলেন তাঁরা। কিন্তু এবছর কী হবে? দর্শকদের প্রত্যাশিত নতুন এপিসোডের কথা ভেবেই একাধিক চ্যানেলে শুট ফ্রম হোম চালু করা হয়। কিন্তু যাঁদের কথা ভেবে বাড়ি থেকে শুটিং করছিলেন নির্মাতারা, সেই দর্শকই নতুন এপিসোডগুলি দেখে চূড়ান্ত অখুশি। সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো হাসির খোরাক হয়ে দাড়িয়েছে এই এপিসোডগুলি।
অবশ্য ধারাবাহিকের মান যে কমবেই সেই আশঙ্কা আগেই করেছিল টেকনিশিয়ন ফেডারেশন। সেই কারণেই তাঁরা কিছুতেই শুট ফ্রম হোম পদ্ধতিতে রাজি ছিলেন না। তবে একেবারে কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ার থেকে বাড়ি থেকে শুটি করে যদি ধারাবাহিকগুলির নতুন পর্ব সম্প্রচার করা যায়, তাহলে সেই লাভের ভাগীদার হবেন অভিনেতা থেকে টেকনিশয়ান সকলেই। তাই এই দাবি মেনে নিয়ে নিমরাজি হয় ফেডারেশন। পর্যাপ্ত আলো, মেকআপ ছাড়া শুটিংয়ের কারণেই চরিত্রগুলি প্রাণবন্ত লাগছে না বলে দাবি করেছেন দর্শকদের একাংশ।
আড়ও পড়ুন: “আর কখনওই বিদেশে অনুষ্ঠান করতে যাব না”
পাশাপাশি উঠে এসেছে আরও এক অভিযোগ। ফেডারেশনের দাবি, বহু মেগাধারাবাহিক নির্মাতারা বাড়ি থেকে শুটিংয়ের নাম করে অন্যত্র কাজ করাচ্ছেন। লকডাউনের মধ্যে ভাড়া বাড়ি, হোটেল বা অতিথিশালায় শুটিং করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ অমান্য করা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন ফেডারেশনের সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাস। সামাজিক ব্যবধান না মেনে একাধিক অভিনেতা নিয়ে শুটিং হচ্ছে। এমনকি লুকিয়ে ঘনিষ্ঠ দৃশ্যেরও শুটিং করা হচ্ছে। প্রযোজকদের বিরুদ্ধে এমনই সব চাঞ্চল্যকর অভিযোগ জানিয়ে ফেডারেশন প্রকাশ্যে এনেছে ১৫ পাতার একটি বিবৃতি। তাঁদের বক্তব্যের স্বপক্ষে কয়েকটি ভিডিও প্রকাশ্যে এনেছে সংগঠন। তাঁদের দাবি, ‘এই পথ যদি না শেষ হয়’ ধারাবাহিকের একটি দৃশ্যের শুটিং হয়েছে দক্ষিণ কলকাতার একটি গুদাম ঘরে। এছাড়াও তালিকায় উঠে এসেছে ‘মিঠাই’, ‘বরণ’ এবং ‘খেলাঘর’ ধারাবাহিকের নাম।