মন ভালো করার ছবি আবার বসন্ত বিলাপ: রাজেশ
কলকাতা: “মন খারাপ লাগলে আমাদের ছবি দেখুন,” এমনটাই দাবী করলেন আবার বসন্ত বিলাপ-এর পরিচালক রাজেশ দত্ত। গতকাল ছবির প্রিমিয়ার হয়ে গেল দক্ষিণ কলকাতার এক প্রেক্ষাগৃহে।
রাজেশ ও ঈপ্সিতা রায় সরকার-এর যৌথ পরিচালনায় আবার বসন্ত বিলাপ-এ মুখ্য ভূমিকায় দেখা যাবে পরাণ বন্দোপাধ্যায়, খরাজ মুখোপাধ্যায়, মৌসুমী সাহা, সুমিত সমাদ্দার, ও মীর-কে।
তবে সবচেয়ে বড় চমক একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূরর্ণ চরিত্রে মুনমুন সেন-এর বাংলা ছবিতে প্রত্যাবর্তন। চরিত্রের নাম শকুন্তলা।
যে জন থাকে মাঝখানে
ছবির গল্প অনুযায়ী, সারা ভারত জুড়ে বড়ির ব্যবসা শকুন্তলার। বিশাল সম্পত্তির মালকিন। দামী বিদেশি গাড়ি ছাড়া ঘোরাফেরা করেন না। এ হেন শকুন্তলার হঠাৎ ইচ্ছে হয় তিনি প্রেমের গল্প লিখবেন। যেমন ভাবা তেমনি কাজ। লিখেও ফেলেন প্রেমের লুকোচুরি নামে গোটা একটা বই। কিন্তু ছাপবে কে? খুঁজেপেতে হাজির হন উত্তর কলকাতার গলি, তস্য গলির মধ্যে অবস্থিত বসন্ত বিলাপ প্রেস-এ। সেই প্রেসের ম্যানেজার প্ররাণপ্রিয় (পরাণ) অকৃতদার। প্রথম দর্শনেই প্ররাণপ্রিয় শকুন্তলার প্রেমে ডুবুহাবু।
Advertisement
এদিকে প্রেস-এর সিনিয়র প্রুফরিডার অনাদি (খরাজ) উঠতে-বসতে বাড়িতে গিন্নী (মৌসুমী) এবং অফিসে ম্যানেজারের গঞ্জনার শিকার। কাউকেই খুশি করতে পারেন না তিনি। অনাদিপুত্র শিবু মায়ের দুচোখের মনি ও বেকার। কাজের মধ্যে শুধু আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে চুলের টেরি কাটা। সুন্দরী শকুন্তলাকে দেখে অনাদিরও চিত্তচাঞ্চল্য।
তারপর কি হল, তাই নিয়েই এই ছবির গল্প।
রাজেশের সোজাসাপটা যুক্তি, “জ্বর হলে প্যারাসিটেমল খান নিশ্চয়ই? আর মন খারাপ হলে? তার তো কোনও ওষুধ নেই। আমাদের ছবিই সেই ওষুধ।”
তিন মূর্তি ও পায়ের তলায় সরষে
কিন্তু শকুন্তলা চরিত্রে মুনমুন কেন?
উত্তরে রাজেশ RBN-কে বললেন, “চরিত্রটা যেভাবে লেখা হয়েছে, তাতে ওকে ছাড়া আর কাউকে ভাবাই যায় না। উনি রাজি না হলে, নতুন করে লিখতে হতো চরিত্রটা।”
ছবির মিউজ়িক লঞ্চের দিন মুনমুন বলেছিলেন, তিনি কমেডি করতে চেয়েছিলেন অনেকদিন ধরে। আর নারী পরিচালকের সাথে কাজ করার ইচ্ছে ছিল। রাজেশ-ঈপ্সিতার ছবিতে সেটা সম্ভব হলো।
“নির্মল আনন্দের ছবি আবার বসন্ত বিলাপ। বাড়ির প্রত্যেককে নিয়ে দেখতে পারেন,” বললেন রাজেশ।
ভারতের অন্যান্য শহরেও একই দিনে মুক্তি পেল এই ছবি।