ফিরল ৩২ বছরের নস্ট্যালজিয়া, এবার সঙ্গী লালনও
RBN Web Desk: গত তিন দশক ধরে সারা ভারতে একইরকমভাবে জনপ্রিয় বোধহয় এই একটিই গান, যা আজও ভাষা না বুঝে, খাতা না দেখেও অধিকাংশ ভারতীয় মুখস্থ গেয়ে দিতে পারেন। ভারতের সংবিধানের মূল কথা বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্যকে আর কোনও গান বোধহয় এভাবে আজ অবধি তুলে ধরতে পারেনি। নানা ক্ষেত্রের উজ্জ্বল তারকাদের একটা ছ’মিনিটের ভিডিও যেভাবে জনসাধারণকে কাছাকাছি এনে দিয়েছিল, তেমনটা এই গানের আগে সম্ভবত আর কখনও হয়নি। জনপ্রিয় তো বহু গানই হয়, কিন্তু এতবছর ধরে সাধারণ মানুষের হৃদয়ে থেকে যাওয়ার জন্য ‘মিলে সুর মেরা তুমহারা’র বিশেষ কৃতিত্বকে কুর্নিশ জানাতেই হয়।
পিযুশ পান্ডের কথায়, অশোক পাটকির সুরে ও লুই ব্যাঙ্কসের সজ্জায় ১৯৮৮ সালের স্বাধীনতা দিবসের দিন দূরদর্শনে মুক্তি পায় ‘মিলে সুর মেরা তুমহারা’। সেই যাত্রা আজও অব্যাহত। এ বছর ৭৪তম স্বাধীনতা দিবসে মুক্তি পেল ‘মিলে সুর মের তুমহারা’র নতুন কভার। ৩২ বছরের নস্ট্যালজিয়াকে নতুনভাবে পরিবেশন করতে গিয়ে যোগ হয়েছে লালন ফকিরের বিখ্যাত ‘সব লোকে কয় লালন কী জাত সংসারে’ গানটির কথাও। নতুনভাবে গানটি গাইলেন ‘এসো বন্ধু’ গোষ্ঠী, কণ্ঠে অঙ্কিতা ভট্টাচার্য, অবন্তী সিঁথি, অনন্যা চক্রবর্তী, ঋষিতা সাহা, স্নেহা ভট্টাচার্য, প্রতিভা দত্ত, সোমদত্তা দাস, শম্পা বিশ্বাস, গৌরব সরকার, প্রীতম রায়, অভ্রতনু ঘোষ, রাহুল দত্ত, গুরুজিত সিং, তন্ময় বিশ্বাস, আরমান লামা ও সুমন মজুমদার। গানটিকে নতুনভাবে সাজিয়েছেন অভ্রতনু। অতিমারীর আতঙ্কের মধ্যেও মানুষের কাছে স্বাধীনতা দিবসকে অন্যরকমভাবে স্মরণীয় করে রাখতে ও ভারত-বাংলাদেশ সহযোগিতা ও সৌহার্দ্যের বার্তা দিতে এই উদ্যোগ নিয়েছে ‘এসো বন্ধু’। অন্যদের সঙ্গে বাংলাদেশের অবন্তীও এই গানে গলা মিলিয়েছেন। যন্ত্রসঙ্গীতে রয়েছেন সোমনাথ রায়, সন্দীপন গঙ্গোপাধ্যায়, রাজা মল্লিক, সুভাষ বোস, সন্দীপ চট্টোপাধ্যায়, নভনীল সরকার, প্রদীপ দাস, অভিরূপ চট্টোপাধ্যায়, তন্ময় মন্ডল, চন্দন বসু, অনির্বাণ চট্টোপাধ্যায় ও হরি শংকর।
আরও পড়ুন: পাকদণ্ডীর পথে পথে দেওরিয়াতাল
বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পী শ্রীকান্ত আচার্যর মতে “এই অতিমারী সমস্ত পেশার মানুষকেই চ্যালেঞ্জের সামনে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। সঙ্গীতজগতের অবস্থাও খুবই সঙ্গীন। সেই প্রতিকূলতাকে অতিক্রম করতে এতজন শিল্পীর এই উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়।”
লকডাউন পরিস্থিতির মধ্যেও শিল্পীরা শুটিং করেছেন কৃষ্ণনগর রাজবাড়ি, দক্ষিণেশ্বর মন্দির, শোভাবাজার রাজবাড়ি, কুমোরটুলি, প্রিন্সেপ ঘাট, দুর্গাপুর, দার্জিলিংয়ের চা বাগান ও বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায়।
চিত্রগ্রহণ ও সঙ্গীত ব্যবস্থাপনায় ছিলেন প্রশান্ত সুর। করোনার আবহের মধ্যে সমস্তরকম স্বাস্থ্যবিধি মেনেই ‘মিলে সুর মেরা তুমহারা’ নতুন কভারের শুটিং করা হয়েছে।