আমি ঘোতন নই, অনেক অমিল আছে: মহাব্রত
ঘোতনের চরিত্র করতে মজা লাগলেও সে নিজে মোটেও ঘোতনের মতো নয়, স্পষ্ট কথা অভিনেতা মহাব্রত বসুর (Mahabrata Basu)। পরিচালক সৌকর্য ঘোষালের (Soukarya Ghosal) প্রথম ছবি ‘রেনবো জেলি’র (Rainbow Jelly) মুখ্য শিশু অভিনেতা সাত বছর পরে তাঁর ‘পক্ষীরাজের ডিম’ (Pokkhirajer Dim) ছবিতে রীতিমতো কিশোর নায়ক। সম্প্রতি উচ্চমাধ্যমিকে তাক লাগানো ফল করে নিজের নামের সঙ্গে ‘স্পেশ্যাল চাইল্ড’ তকমাটাকে নিজেই খানিকটা ফিকে করে দিয়েছে সে। এতগুলো বছর পর অভিনয়ে ফিরে কেমন লাগছে মহাব্রতর?
“সৌকর্যদা তো আগের ছবিটার পরেই পোস্ট দিয়েছিল পরের পর্ব আসছে বলে”, রেডিওবাংলানেট-কে জানাল মহাব্রত, “তখন খুব একটা আশা করিনি ছবিটা নিয়ে কিন্তু সেটা সত্যিই হলো তো এতদিন পর!”
কিন্তু মাঝখানে কেটে গেছে সাতটা বছর। অনেকটা বড় হয়ে গেছে মহাব্রত। কতটা বদল এসেছে তার অভিনয়ে?
“তখন তো আমি ছোট ছিলাম,” বলল মহাব্রত, “তখনকার আমি আর এখনকার আমি তো এক নই। ছোটবেলায় যা যা করেছি সেটার সঙ্গে এখন আমাকে ব্যালান্স করতে হয়েছে। কারণ বড় হলেও চরিত্রটা তো একই। সেগুলো আমাকে ওয়ার্কশপে শেখানো হয়েছিল।”

‘পক্ষীরাজের ডিম’-এর একটি দৃশ্যে
কিন্তু ঘোতন আর মহাব্রত কতটা আলাদা?
“ঘোতনের সঙ্গে আমার বৈসাদৃশ্য অনেক, অবশ্য সাদৃশ্যও আছে কিছু। ওর বড় হওয়াটা একেবারে আলাদা পরিবেশে। মা-বাবাকে ছাড়া মামার হাতে মার খেয়ে বড় হয়েছে ও। হঠাৎ করে তার সামনে পরীপিসির মতো একজন চলে আসে। সেটাও একটা অন্যরকম ব্যাপার। সেখান থেকে এখন ঘোতন আকাশগঞ্জে চলে এসেছে। তাই চরিত্ররাও সব আলাদা,” জানাল সে।
আরও পড়ুন: রং বেরঙের স্বপ্নকে ফিরিয়ে দেবে ‘পক্ষীরাজের ডিম’
সহঅভিনেতা এবং টেকনিশিয়নদের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা নিয়েও খুব খুশি মহাব্রত, “অনির্বাণদা (ভট্টাচার্য), সৌমিকদা (হালদার), দেবেশদা (রায়চৌধুরী), অনুজয়দা (চট্টোপাধ্যায়) প্রত্যেকেই খুব ভালো। আমাকে কাজ করতে খুব সাহায্য করেছে সকলেই। এছাড়াও সবচেয়ে বেশি হেল্প করেছে ওখানকার লাইটম্যান, বাপিদা, করিমদা, আকাশদা, পাপাইদা, সকলেই আমার নানান আবদার মিটিয়েছে।”
ছবির শুটিং হয়েছে বিহারের শিমুলতলায়। সেই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে মনে পড়ে গেল মহাব্রতর, “আমি সবচেয়ে ঝামেলায় ফেলেছি মেকআপ আর্টিস্ট ঋষিদাকে। আমাকে মেকআপ করিয়ে দিত, আর আমি ভুলে যেতাম। মুখ মুছে ফেললাম ব্যস মেকআপও চলে গেল। আমার মনেই থাকতো না যে মেকআপ করা আছে, আর সব ঘেঁটে গিয়ে একটা বিচ্ছিরি ব্যাপার হতো। এই জিনিসটা রোজ হতো। কিন্তু ওরা কেউ রেগে যেত না। আবার আমাকে যত্ন করে মেকআপ করাতো।”
অভিনয় করা ছাড়াও ছবি আঁকতে, গান গাইতে আর আড্ডা দিতে ভালোবাসে মহাব্রত। কী করতে চায় সে বড় হয়ে? “আমি সবকিছুই করতে চাই। অভিনয়ও করতে চাই। যদি সুযোগ পাই আমি সবই করব,” উচ্ছ্বসিত জবাব মহাব্রতর।
ছবি: প্রতিবেদক
