এবার সিনেমার মতো করে মহিষাসুর বধের কাহিনী

RBN Web Desk: প্রতি বছর পুজো আসার বেশ কিছুদিন আগে থেকেই বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলে মহালয়ার অনুষ্ঠানের প্রচার শুরু হয়ে যায়। আকাশবাণীতে দীর্ঘ সময় ধরে হয়ে আসা শ্রী শ্রী চণ্ডী থেকে পাঠ ও ‘মহিষাসুরমর্দিনী’র আদলে প্রথমে দূরদর্শন ও পরে বিভিন্ন চ্যানেলে দেখা যায় আগমনী অনুষ্ঠান। বলা যায় এটাই এখন একটা মডেলে পরিণত হয়ে গেছে। এর বাইরে গিয়েও যে দুর্গার মাহাত্ম্য নিয়ে কথা বলা যায়, তেমনটা কেউ ভাবেননি। এবার সেটাই দেখা যাবে পরিচালক আবির রায়ের ‘জয়ং দেহি’ ছবিতে। অভিনয়ে রয়েছেন সায়নী চক্রবর্তী, সাগরদ্বীপ রায়, অমিত ঘোষ, তৃপ্তি দাস ও রাজেশ চক্রবর্তী। 

স্বয়ং অগ্নিদেবের কাছে ত্রিলোকবিজয়ী পুত্রলাভের আশীর্বাদ পেয়ে দানবরাজ রম্ভ মহিষকন্যা শ্যামলাকে কামনা করেন। কিন্তু রম্ভের অকস্মাৎ মৃত্যুতে তার চিতায় আত্মাহুতি দেন শ্যামলা। সেই চিতা থেকে মহিষাসুরের জন্ম হয়। ব্রহ্মার বরে মহাশক্তিশালী মহিষাসুর জিতে নিতে চায় সমগ্র স্বর্গরাজ্য, অধিকার করতে চায় ত্রিলোকের সমস্ত ক্ষমতা। অতঃপর দেবতাদের সমবেত প্রার্থনায় বোধন হয় দেবী দুর্গতিনাশিনীর। পুরাণে বর্ণিত এমন অনেক ঘটনার সমন্বয়ে তৈরি হয়েছে দেড় ঘণ্টার ছবি ‘জয়ং দেহি।’ 

আরও পড়ুন: ফেলু সিরিজ়ে গোয়েন্দার চরিত্রে সৌরসেনী

মহিষাসুর বধের কাহিনী নিয়ে ছবি করার কথা ভাবলেন কেন? 

“এই গল্পটা নিয়ে আমি বহুদিন ধরে কাজ করতে চেয়েছি,” রেডিওবাংলানেট-কে বললেন আবির। “দেবতা ও অসুরের মধ্যে চিরকালীন যে সংঘাত, আর্য-অনার্য বিরোধ, যতবার অসুররা মাথা তুলতে চেয়েছে দেবতারা তাদের দাবিয়ে দিয়েছে। শেষে প্রবল শক্তি সঞ্চয় করে মহিষাসুরের স্বর্গ আক্রমণ ও দেবতাদের আর্তিতে দেবীর বোধন ও অসুরবধ, এই সমগ্র গল্পটা নিয়ে পূর্ণাঙ্গ ছবি কমই হয়েছে। তাছাড়া বিভিন্ন চ্যানেলে যা প্রতি বছর দেখানো হয় তার সঙ্গে এটার আঙ্গিক একেবারেই আলাদা। ওখানে নৃত্যনাট্যের মাধ্যমে গল্পটাকে তুলে ধরা হয়, আমরা সেটা সিনেমার মতো করে করেছি।” 

ছবির প্রয়োজনে প্রচুর ভিএফএক্স ছবিতে ব্যবহার করা হয়েছে বলে জানালেন আবির। 

এই সময়ে দাঁড়িয়ে যেখানে সকলেই ওটিটিকে বেছে নিচ্ছেন সেখানে আবিরের ছবিটি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ইউটিউব চ্যানেলে মুক্তি পেতে চলেছে। এর কারণ হিসেবে আবির জানালেন, “যেহেতু এটা ইন্ডিপেন্ডেন্ট ছবি তাই খরচের ব্যাপারটা আমাদের আয়ত্বের মধ্যেই ছিল। সেটা যখন উঠে এসেছে তখন আর অন্য মাধ্যমে দেওয়ার প্রয়োজন মনে করিনি। ওটিটিতে তো সকলে ছবিটা দেখতে পাবেন না। বয়স্ক মানুষ যাঁর এই ধরণের ছবি দেখতে চান, তাঁরা অনেকেই আলাদা ওটিটি ব্যাপারটা বোঝেন না বা গ্রাহক হতে পারেন না তাছাড়া পুরাণের কাহিনী ডিজিটাল মাধ্যমে মানুষ কতটা দেখবেন সেই নিয়েও সন্দেহ ছিল। আমি ছবিটাকে একটা ছোট গণ্ডিতে আটকে রাখতে চাইনি। ইউটিউবে থাকলে এটা অনেকেই দেখতে পারবেন।”

১৮ সেপ্টেম্বর থেকে ড্রিমসিটি আর্টিস্টস ইউটিউব চ্যানেলে দেখা যাবে ‘জয়ং দেহি।’




Like
Like Love Haha Wow Sad Angry

Swati

Editor of a popular Bengali web-magazine. Writer, travel freak, nature addict, music lover, foody, crazy about hill stations and a dancer by passion. Burns the midnight oil to pen her prose. Also a poetry enthusiast.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *