আবারও জুটি বাঁধছেন ঋতুপর্ণা, কৌশিক

কলকাতা: আবারও জুটি বাঁধতে চলেছেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত ও কৌশিক সেন। পরিচালক জয়প্রকাশের ছবি ‘দিবা-রাত্রি’তে অভিনয় করছেন তাঁরা। হিন্দি ও বাংলা, দুই ভাষাতেই মুক্তি পাবে ছবিটি। বর্তমান পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে ওটিটি এবং প্রেক্ষাগৃহ দুই মাধ্যমেই মুক্তি পেতে চলেছে  ‘দিবা-রাত্রি’। শুটিং শুরুর আগে চলছে শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতি। এই ছবিতে জুটি বাঁধছেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত ও কৌশিক সেন। ১৪ জানুয়ারি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন ছবির সঙ্গে যুক্ত শিল্পী ও কলাকুশলীরা।

এর আগে অগ্নিদেব চট্টোপাধ্যায়ের ‘গহীন হৃদয়’-এ তাঁরা একসঙ্গে অভিনয় করেছিলেন। 

কোভিড পরিস্থিতিতে সিনেমা ও টেলিভিশন যথেষ্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ধীরে-ধীরে আবার ছন্দে ফেরার চেষ্টা করছে সকলে। তবে সবটা এখনও আগের মতো হয়নি। তাই এই মুহুর্তে কাজের পরিবেশ ও সুযোগ সৃষ্টি করাটাই ছন্দে ফেরা, এমনটাই মনে করছেন কৌশিক।

“‘দিবা-রাত্রি’তে আমার চরিত্রটা কেমন তার চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো এই পরিস্থিতিতেও একটা ছবি হচ্ছে,” বললেন কৌশিক। “জয়প্রকাশজীর মতো পরিচালক মুম্বই থেকে কলকাতা এসে একটা ছবি করতে চাইছেন। এটা আমাদের মতো অভিনেতা-অভিনেত্রী এবং সিনেমা শিল্পের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা মানুষগুলোর কাছে আশার আলো। তাই এই ছবিটা আমার কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ।”

আরও পড়ুন: এবার ক্ষমতার বিরুদ্ধে প্রতিভার লড়াই, দাবি পরিচালকের

এই ছবিতে তাঁর চরিত্র সম্পর্কে একটা আবছা ধারণা দিলেন কৌশিক। “এখনও ছবির শুটিং শুরু হয়নি। প্রাথমিক কথাবার্তা হয়েছে। জয়প্রকাশের কাছে আমি যতটুকু শুনেছি, ছবিতে আমার চরিত্রটা আসলে খুব নম্র, ভদ্র একটি ছেলের। তবে সে খুব উচ্চাকাঙ্ক্ষী। ঘটনাচক্রে ঋতু যে চরিত্রটি করছে, তার বাবার ব্যবসার সঙ্গে সে যুক্ত হয়। সেই সূত্রে মেয়েটির সঙ্গে একটা সম্পর্কও তৈরি হয়। একটা সময় সে জীবনে সফলও হয়। কিন্তু সাফল্য বিষয়টা তো সকলের কাছে এক রকম নয়। সাফল্য এক একজন মানুষের জীবনে এক একরকমের প্রভাব ফেলে। ছেলেটার জীবনে কী পরিবর্তন আসে, তাদের সম্পর্কে কেমন প্রভাব পড়ে, এই সবকিছু নিয়েই ছবিটা। আমার অভিনীত চরিত্রটার মধ্যে অনেকগুলো স্তর আছে।”

দশমাস পর দেশে ফিরেই জোরকদমে কাজ শুরু করে দিয়েছেন ঋতুপর্ণা। “আমি ভীষণ পজ়িটিভ মানুষ। তাই ২০২১ সালটা আমি কাজ দিয়েই শুরু করেছি। জয়প্রকাশের সঙ্গে আমি এর আগেও কাজ করেছি। তবে এখন এই নিউ নর্মাল পরিস্থিতিতে আমরা নতুন মাধ্যমে কাজ করতে চাই,” বললেন তিনি।


কোভিড পরিস্থিতিতে দর্শক এবং অভিনয়জগতে নবাগতদের কাছে ওটিটি বেশ জনপ্রিয়। তাই এই প্ল্যাটফর্মের ভবিষ্যত বেশ উজ্জ্বল। কোভিডের টিকা এসে গেলে অবশ্যই দর্শক হলমুখী হবেন বলে মনে করেন ঋতুপর্ণা। “বড়পর্দায় যে মজাটা আছে, সেটা অন্য কোনও প্ল্যাটফর্মে পাওয়া সম্ভব নয়। তাই সিনেমা কোনওদিনও চলে যাবে না। সিনেমা আমাদের মেরুদণ্ড। সব ঠিক হতে, এই আতঙ্কটা কাটতে হয়ত একটু সময় লাগবে। কিন্তু সিনেমাকে আমরা বাঁচিয়ে রাখব,” বললেন ঋতুপর্ণা।

বর্তমানে মুম্বইবাসী হলেও জয়প্রকাশ আসলে বাংলার মানুষ। তাই বাংলা ছবি পরিচালনার দিকে তাঁর আগ্রহ বেশি। ঋতুপর্ণার অভিনয়ে মুগ্ধ জয়প্রকাশ তাঁর আগামী সবকটা বাংলা ছবিতে ঋতুপর্ণার জায়গা পাকা করে রেখেছেন।

ছবি: রাজীব মুখোপাধ্যায়

Amazon Obhijaan



Like
Like Love Haha Wow Sad Angry

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *