ভিন্ন সম্পর্কের সমীকরণ নিয়ে সায়ন্তনী-প্রান্তিকের ‘চাঁদের হাসি’
RBN Web Desk: সব সম্পর্কের সমীকরণ যেমন এক হয় না, তেমনই সব সম্পর্কের পরিণতিও একটা আরেকটার মতো নয়। শুধু একটা রাতের জন্য টাকা দিয়ে কেনা এই সম্পর্কগুলো থেকে তাই কোনও প্রত্যাশা থাকে না। আর পাঁচটা সম্পর্কের মতো এক ছাদের তলায় তাদের নিত্য যাতায়াত কিন্তু কেউই কাউকে চেনে না। চিনতে চায় না।
সায়ন ও রেশমীর সম্পর্কটা ঠিক তেমনভাবেই শুরু হয়েছিল। রেশমী একজন দেহোপজীবিনী। করোনা ভাইরাস ও লকডাউনের কারণে এই থমকে যাওয়া সময়ে অনেকের মতোই সে কর্মহীন। হঠাৎই একদিন এক অপরিচিত ক্লায়েন্ট তাকে ফোন করে। রেশমী সেজেগুজে প্রস্তুত হয়ে তার জন্য অপেক্ষা করতে থাকে।
আরও পড়ুন: টেলিভিশনের পর্দায় আসছে ‘পান্ডব গোয়েন্দা’, থাকছে রোম্যান্সও
একটা সময় সেই ক্লায়েন্ট অর্থাৎ সায়ন আসে। কিন্তু তথাকথিত অন্তরঙ্গতা তৈরি হওয়ার বদলে সৃষ্টি হয় একেবারে অপরিচিত ‘আন্তরিক’ এক মুহুর্ত। দেওয়া-নেওয়ার সম্পর্কের বাইরে ব্যক্তিগত আবেগঘন একটি সম্পর্ক গড়ে ওঠে দুজনের। প্রেক্ষাপটে থাকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গান ‘চাঁদের হাসির বাঁধ ভেঙেছে’।
সুচন্দ্রা ভানিয়ার ভাবনায় প্রতীক দাশের স্বল্পদৈর্ঘ্যের ছবি ‘চাঁদের হাসি’ মুক্তি পেল সম্প্রতি। সায়ন এবং রেশমীর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন প্রান্তিক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সায়ন্তনী গুহঠাকুরতা। স্বল্প দৈর্ঘ্যের এই ছবিটি পরিচালনা করেছেন প্রতীক দাশ। চিত্রগ্রহণের দায়িত্বে ছিলেন প্রান্তিক ঘোষ, সম্পাদনায় সৌরভ মন্ডল। নেপথ্য সঙ্গীতে রয়েছেন স্মার্ত মজুমদার।