‘বাঘবন্দি খেলা’ নিয়ে সন্দিহান ছিলেন প্রফুল্ল
RBN Web Desk: পীযূষ বসুর পরিচালনায় ১৯৭৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘বাঘবন্দি খেলা’র সাফল্য নিয়ে সন্দিহান ছিলেন এই ছবির কাহিনীকার প্রফুল্ল রায়। তাঁর রচিত ‘প্রথম তারার আলো’ অবলম্বনে এই ছবির গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন উত্তমকুমার, সুপ্রিয়া দেবী, পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও মহুয়া রায়চৌধুরী।
সম্প্রতি এক বাংলা দৈনিককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রফুল্ল জানালেন যে ‘প্রথম তারার আলো’র চিত্রসত্ব কেনার জন্য তাঁকে ফোন করেন উত্তমকুমার। এই নামে তাঁর যে কোনও উপন্যাস আছে সেটা তিনি ভুলেই গিয়েছিলেন। শেষমেষ তাঁর স্ত্রী মনে করান। পরে উত্তকুমার তাঁর ময়রা স্ট্রিটের বাড়িতে অন্যান্য প্রযোজক-পরিচালকদের বসিয়ে রেখে, লেখককে পাশের ঘরে আলাদা করে ডেকে নিয়ে জিজ্ঞেস করেন ‘প্রথম তারার আলো’র সত্বের জন্য তাঁকে কত টাকা দিতে হবে। উত্তরে প্রফুল্ল বলেন যে উত্তম যা ধার্য করবেন, সেটাই তিনি নেবেন।
‘বাঘবন্দি খেলা’র শুটিং শুরু হওয়ার পর প্রফুল্ল উত্তমকুমারকে বলেছিলেন যে এই ছবি চলবে না। বাংলার দর্শক পুরোদস্তুর খলচরিত্রে উত্তমকে গ্রহণ করবে না।
আরও পড়ুন: ঋষিকে হারিয়ে দিয়েছিলেন রাজেশ?
প্রফুল্লর ভবিষ্যদ্বাণী খাটেনি। বক্স অফিসে সুপারহিট হয় ‘বাঘবন্দি খেলা’। উত্তমকুমারের অন্যতম সেরা ছবির মধ্যে ‘বাঘবন্দি খেলা’-কে ধরা হয়।
প্রফুল্ল রায়ের রচিত কাহিনী অবলম্বনে তৈরি হয়েছে ‘এখানে পিঞ্জর’, ‘মোহনার দিকে’, ‘একান্ত আপন’, ‘চরাচর’, ‘দেশ’, ‘বাঘ বাহাদুর’-এর মতো একাধিক সফল ও বিখ্যাত বাংলা ছবি। সেই সব ছবিতে অভিনয় করেছেন উত্তমকুমার, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, অপর্ণা সেন, ভিক্টর বন্দ্যোপাধ্যায়, ইরফান খানের মতো তারকারা। এমনকি বাংলা ব্যান্ড সঙ্গীতের পুরোধা গৌতম চট্টোপাধ্যায় পরিচালিত ‘নাগমতী’র কাহিনীকারও তিনি।
ছবি: উইকিমিডিয়া কমন্স