সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরেও হুমকি দেওয়া হচ্ছে, অভিযোগ ‘দ্য কেরালা স্টোরি’র পরিচালকের
কলকাতা: সুপ্রিম কোর্ট নিযেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার নির্দেশ দিলেও ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ ছবিটি প্রদর্শন না করার হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করলেন পরিচালক সুদীপ্ত সেন। গতকাল শহরে এক জনাকীর্ণ সাংবাদিক সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন সুদীপ্ত। তিনি ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ছবির অন্যতম অভিনেত্রী অদাহ শর্মা।
উল্লেখ্য, ৫ মে মুক্তি পায় ‘দ্য কেরালা স্টোরি’। মুক্তির কয়েকদিনের মধ্যেই প্রেক্ষাগৃহে ছবিটি প্রদর্শনের ওপর নিযেধাজ্ঞা জারি করে রাজ্য সরকার। নিযেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় প্রযোজনা সংস্থা। ১৮ মে শুনানির পর ছবিটির উপর থেকে নিযেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত। পাশাপাশি, ছবিটির দাবি তথ্যভিত্তিক নয়, এরকম একটি ডিসক্লেমার যোগ করার নির্দেশও দেয় আদালত।
আরও পড়ুন: টেলিভিশনে প্রবল অনীহা ছিল বাবার, মৃণাল সেনের স্মৃতিচারণে পুত্র কুণাল
ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে উপস্থিত ছিলেন ‘দ্য কেরালা স্টোরি’র উপস্থাপক বিপুল অমৃতলাল শাহ। তাঁর অভিযোগ, “প্রেক্ষাগৃহের মালিকদের রীতিমতো ভয় দেখানো হচ্ছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অমান্য করলে আমরা আবারও আদালতে যাব। কোনওভাবেই এই ছবির প্রদর্শন আটকানো যাবে না।”
তবে হলমালিকদের একাংশের দাবি, ১৯ মে একাধিক ছবি মুক্তি পেয়েছে। কয়েকটি ছবি দ্বিতীয় বা তৃতীয় সপ্তাহে চলেছে। গরমের ছুটিতেও বেশ কয়েকটি বাংলা ও হিন্দি ছবি মুক্তি পাওয়ার কথা। তাই এসব ছবির মাঝে ‘দ্য কেরালা স্টোরি’কে ক’টা শো দেওয়া যাবে তাই নিয়ে তাঁরা সন্দিহান।
আরও পড়ুন: জয়সলমেরে সত্যজিৎ রায়ের মূর্তি, উদ্যোগী রাজস্থান সরকার
“কেন্দ্রীয় সেন্সর বোর্ডের কাছে আমরা ২০০ পাতার নথিপত্র জমা দিয়েছি। সেন্সর বোর্ড বা সুপ্রিম কোর্ট ছবিটির কোনও দৃশ্য কাঁটছাট করতে বলেনি। কোনও সংলাপ বা শব্দও পরিবর্তন করতে বলেনি যা আগে বহু ছবির ক্ষেত্রে হয়েছে। অর্থাৎ, এই ছবির কনটেন্ট নিয়ে শীর্ষ আদালতের কোনও আপত্তি নেই। এরপরেও ছবিটির প্রদর্শন বন্ধ করা হচ্ছে কেন,” প্রশ্ন সুদীপ্তর।
অদাহ বললেন, “ছবিতে কতজন মহিলার দুর্দশার কথা তুলে ধরা হয়েছে, সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। অনেকেই মুখ খুলতে চাননি। যে কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পেয়েছিলাম, তাঁদের দুর্দশার কথা শুনে আমরা শিউরে উঠেছিলাম। দিনের পর দিন, এমনকী একদিনে একাধিকবার গণধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন তাঁরা। রেহাই পাননি ন’মাসের অন্তঃসত্ত্বাও। সেসবই আমরা তুলে ধরেছি ‘দ্য কেরালা স্টোরি’তে। আশা করি এ রাজ্যের মানুষ শীঘ্রই ছবিটি দেখতে পাবেন।