ক্ষয়ে যাওয়া সমাজের প্রতিচ্ছবি নিয়ে আসছে ‘ঘুন’
কলকাতা: মধ্যবয়সী বিক্রম এক বহুজাতিক সংস্থায় কর্মরত। স্ত্রী বিয়োগের পর শারীরিক চাহিদা মেটাতে কর্মচারী পুনমের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয় সে। অল্পবয়সী পুনম উচ্চাকাঙ্খী। কর্মস্থলে পদোন্নতির জন্য সে যা খুশি করতে পারে। বন্ধু জয়ের সঙ্গে লিভ-ইন করলেও সে তাকে ভালোবাসে না। পুনম স্বার্থপর ও আত্মকেন্দ্রিক, বিক্রমকে সে নিজের জন্য ব্যবহার করে।
জয় বর্তমানে বেকার। সে চিত্র পরিচালক হতে চায়। ইদানিং তার একটাই কাজ, চিত্রনাট্য হাতে প্রযোজকের দ্বারে-দ্বারে ঘোরা। পুনমের সঙ্গে তার সম্পর্ক বন্ধুত্বের থেকে একটু বেশিই। পুনমের প্রতি জয়ের একটা ভালো লাগা আছে। পুনম সেটা জেনেও জয়কে বিশেষ পাত্তা দেয় না।
এদিকে বিনীতা একজন সন্তানহারা মা ও গৃহবধূ, অসুস্থ শ্বশুরকে পরিচর্যা করে। বিনীতা ও তার স্বামী অমিতের সম্পর্ক স্বাভাবিক নয়। বিনীতা তার সন্তান হারানোর ব্যপারটি মেনে নিতে পারেনি। অমিতকে সে তার কষ্ট বুঝিয়ে উঠতে পারে না। অমিত অন্য নারীর সঙ্গে সম্পর্কে লিপ্ত জেনেও বিনীতা নিরুত্তাপ থাকে। ক্রমে এক যন্ত্রে পরিণত হয় বিনীতা। জয় তার জীবনে নতুন ভূমিকা আনে। ভালোলাগা ক্রমে ভালোবাসার রূপ নেয়।
পঁচিশে ‘উনিশে এপ্রিল’
ক্ষয়ে যাওয়া এক শহুরে সমাজের গল্প বলতেই পরিচালক শুভ্র রায় নিয়ে আসছেন তাঁর প্রথম ছবি ‘ঘুন’। এই ছবির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন সৌরভ দাস, অনুশা বিশ্বনাথন, সমদর্শী দত্ত, কৌশিক ঘোষ ও পৌলমী দাস। ছবির মূল গল্প ও চিত্রনাট্য লিখেছেন সৌরভ মালাকার ও বিশ্বজিৎ হালদার, সঙ্গীত হেঁসেল সামলেছেন প্রিয়াঙ্ক।
এরকম একটা গল্প নিয়ে ছবি করতে এলেন কেন?
শুভ্র রেডিওবাংলানেট-কে জানালেন, “সম্পর্কে টানাপোড়েনের গল্পে আমার বরাবরের আগ্রহ। এরকম গল্পে অনেকগুলো স্তর থাকে, অনেক নাটকীয় মুহূর্ত রাখা যায়। তাছাড়া আমার ছবির বিষয়বস্তু আমাদের চারপাশের বিভিন্ন বাস্তব সম্পর্ক থেকে নেওয়া। দর্শক খুব সহজেই সেটা বুঝতে পারবেন।”
বর্তমানে ছবির শ্যুটিং চলছে। সম্ভবত সেপ্টেম্বরের প্রথমদিকে মু্ক্তি পেতে চলেছে ‘ঘুন’।