আহারে বাহার: পুজোয় পেটপুজোর ৮টি হালহদিশ
দুর্গাপুজোকে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব বলে মনে করা হয় কেন? সারা বছর ধরে এই চারটে দিনের জন্য কেন বাঙালি অপেক্ষা করে থাকে? শুধুই কি ষষ্ঠীর ঢাক, সপ্তমীর নবপত্রিকা স্নান, মহাষ্টমীর অঞ্জলি আর সন্ধিপুজোর প্রদীপ তাকে অপেক্ষা করায়? শুধুই কি রাত জেগে প্রতিমা দর্শন করে আনন্দ পাওয়া যেত, যদি না এর ফাঁকে ফাঁকে ভরপুর পেটপুজোর হাতছানি থাকতো!
সত্যিই যেমন খাওয়াদাওয়ার গল্প ছাড়া বাঙালির ইতিহাস অসম্পূর্ণ থেকে যায়, তেমনই অসম্পূর্ণ থেকে যায় দুর্গোৎসবও। তাই সেই উৎসবের মেজাজকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে কলকাতার বিভিন্ন রেস্তোরাঁ তাদের পুজোর সম্ভার সাজিয়েছে বিশেষ কিছু পদের সাহায্যে। এবারের পুজোয় পেটপুজোর হালহদিশের খবর রইল রেডিওবাংলানেট-এর পাতায়।
চিলেকোঠা
গড়িয়াহাটের কাছে অবস্থিত এই রেস্তোরাঁর সাজসজ্জা বাঙালিকে তার পুরোনো নস্টালজিয়া ফিরিয়ে দেবে। পঞ্চাশজন অতিথির বসে খাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে এই রেস্তোরাঁয়, যেখানে প্রায় সর্বত্র বাংলার ঐতিহ্য ইতিউতি ছড়িয়ে রয়েছে। পুজোয় বিশেষ মেনুর ব্যবস্থা থাকছে চিলেকোঠায়। ষষ্ঠীর দিনের বুফের নামকরণ করা হয়েছে ‘আহারে বোধন’। ওয়েলকাম ড্রিংক হিসেবে থাকবে গন্ধরাজ ঘোল। স্টার্টারে থাকবে লঙ্কা ভাপে মুরগি ও চানা মটরশুঁটির বল। বুফের মূল পর্বে থাকবে ভাজা মশলার আলুরদম, বেগুন বাসন্তী, পাবদা সর্ষের রসনা, কালো ভুনা মাটন ও আরো অনেক কিছু।
একইভাবে বাকি চারদিনের বুফের নাম ‘স্বাদে সপ্তমী’, ‘ভোগের অষ্টমী’, ‘ঐতিহ্যের নবমী’ ও ‘চেটেপুটে বিজয়া’। এই কদিনেও থাকছে নানান স্বাদের জিভে জল আনা পদ। এর মধ্যে কয়েকটি হলো গন্ধরাজ চিকেন, পটলের দোলমা, চিংড়ির মালাইকারি, মাটন ডাকবাংলো, ঠাকুরবাড়ির মাংস, ঢাকাই ভুনা চিংড়ি, ফিস ফ্রাই, বাসন্তী পোলাও, ঢোকার ডালনা ও আরো অনেক কিছু। এছাড়া পুজোর কদিন আলাদাভাবে বাঙালি মিষ্টান্নের ঢালাও রকমফের থাকবে চিলেকোঠায়। বুফে ছাড়াও অর্ডার করে খাবার ব্যবস্থাও থাকবে একইসঙ্গে।
ঠিকানা: ৭/২বি, ডোভার লেন, বালিগঞ্জ, কলকাতা ৭০০০২৯
দিন: ৪ অক্টোবর থেকে ৮ অক্টোবর
সময়: দুপুর ১২টা থেকে
বুফের খরচ: ₹১,২৬০ (জিএসটি নিয়ে) ও ₹৮৪০ (জিএসটি নিয়ে) ছোটদের জন্য।
আ লা কার্তে সেকশন: ₹৮০ থেকে ₹৬০০ (ট্যাক্স আলাদা)