যৌনপল্লীর পটভূমিতে শুরু নতুন ধারাবাহিক
কলকাতা: শহরের যৌনপল্লী হিসেবে পরিচিত সোনাগাছির পটভূমিকায় শুরু হল নতুন ধারাবাহিক ইয়ে তেরি গলিয়াঁ। এক যৌনকর্মীর কন্যা ও সেই পাড়ায় বড় হয়ে ওঠা এক কিশোরের বন্ধুত্ব ও ভালোবাসার গল্প নিয়ে তৈরি হয়েছে জ়ি টিভির এই হিন্দী ধারাবাহিক।
গল্পে পুঁচকির মা এক যৌনকর্মী। কিশোরী পুঁচকির সাথে বন্ধুত্ব হয় শান্তনুর। সোনাগাছির গলিতে খেলে বেড়ায় দুজনে। কিন্তু সেই বন্ধুত্ব হয় ক্ষণস্থায়ী। সামাজিক এবং আরও অনেক বিধিনিষেধের চাপে বিচ্ছেদ ঘটে দুজনের। যাওয়ার আগে যুবক শান্তুনু বলে যায়, একদিন সে ফিরে আসবে এবং পুঁচকিকে নিয়ে যাবে এই পরিবেশ থেকে। একা পড়ে যায় পুঁচকি। যৌনকর্মীদের এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সাথে একটি নাচের স্কুল খোলে সে। একদিন ফিরে আসে শান্তুনু। তরাপর কি হয়, তাই নিয়েই এগোবে ইয়ে তেরি গলিয়াঁ।
পুঁচকি ও শান্তনুর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন যথাক্রামে ভ্রূষিকা মেহতা ও মনীষ গোপলানী।
যে মৃত্যু আজও রহস্য
যৌনপল্লী হিসেবে কলকাতার সোনাগাছি কেন? জ়ি টিভির প্রতিনিধির দাবী, “আমাদের চ্যানেলে দেশের নানান শহরের পটভূমিকায় তৈরি গল্প দেখানো হয়ে থাকে। এর আগে বাঙালি চরিত্র নিয়ে ২০১৬-তে সম্প্রচারিত বিষকন্যা ধারাবাহিকটি যথেষ্ট জনপ্রিয় হয়েছিল। যে ভাবে গল্পটি ভাবা হয়েছে, তাতে এই শহর ও সোনাগাছির পরিবেশ দারুণভাবে মিশে গেছে ইয়ে তেরি গলিয়াঁ-এর চিত্রনাট্যের সাথে।”
পুরো কাজ মুম্বইয়ের স্টুডিয়োতে হলেও, কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় শ্যুট করা হবে ইয়ে তেরি গলিয়াঁ, যাতে এই শহর ও তার সংস্কৃতি সঠিকভাবে ফুটে ওঠে টিভির পর্দায়, জানালেন কর্তৃপক্ষ।
প্রেমের পাপে
সংবাদমাধ্যমকে মনীশ বললেন, “যৌনকর্মীদের সমাজে সমান অধিকারের ওপর জোর দেবে এই ধারাবাহিক। একজন মানুষ জীবনে কি করতে চায়, তাকে সেইভাবেই বিচার করা উচিত। সমাজের কোন স্তর থেকে সে উঠেছে, সেটা কখনওই গুরুত্ব দেওয়া উচিত নয়।”
টিআরপি ধরে রাখার জন্য শাশুড়ি-বৌমার কূটকচালির গল্পে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিলেন চ্যানেল কর্তৃপক্ষ। “যৌনকর্মী ও তাদের সন্তানদের সামাজে গ্রহণযোগ্যতার বিষয়টি তুলে ধরার জন্য যে কটি চরিত্র আনা দরকার তার থেকে বেশি কিছুই দেখানো হবে না,” জানালেন জ়ি টিভির প্রতিনিধি।
খুব ভালো খবর ।