হ্যাকিংয়ের ভালো মন্দ তুলে ধরতে আসছে দ্য হ্যাকার
কলকাতা: গত কয়েক বছরের প্রযুক্তিগত উন্নতি একুশ শতকের পৃথিবীকে বদলে দিয়েছে অনেকটাই। কিছু মানুষের হাতে এসেছে অসীম ক্ষমতা। কিন্তু এই বিরাট দায়িত্ব ও শক্তি প্রয়োগে যে সংযম দেখানো উচিত, তা অনেকই দেখাতে পারছেন না। প্রযুক্তির অভাবনীয় উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে কিছু আশ্চর্য ও ভয়ঙ্কর ক্ষমতা এখন মানুষের নখদর্পণে। হ্যাকিং এর মধ্যে অন্যতম, যার দ্বারা ভালো, খারাপ দু’ধরণের কাজই করা হয়।
হ্যাকাররা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তাদের ক্ষমতা প্রয়োগ করে অন্যের সিস্টেম থেকে তথ্য চুরি করেন বা বদলে দেন, যার দ্বারা কম্পিউটার ব্যবহারকারীরা নানারকম ব্যক্তিগত ক্ষতির মুখে পড়েন। সেই ক্ষতির পরিমাণ ছোট থেকে বড়, অনেক কিছুই হতে পারে।
হারানো লেত্তি, হারানো লাট্টু
তাই হ্যাকিংয়ের ভালো মন্দ ও কুৎসিত দিকগুলিকে তুলে ধরতে পরিচালক সিদ্ধার্থ সেন ও সুব্রত মণ্ডল নিয়ে আসছেন তাঁদের নতুন ছবি ‘দ্য হ্যাকার’। সাধারণ মানুষকে হ্যাকিংয়ের ভয়াবহ দিক সম্পর্কে জানাতে সাহায্য করবে এই ছবি। দ্য হ্যাকার-এর মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন আরিয়ান ভৌমিক, এনা সাহা ও আরিয়ান রায়।
দ্য হ্যাকার-এর কাহিনী আবর্তিত হয় কবীর আলি (আরিয়ান রায়) নামক এক র এজেন্টের কাছে আসা একটি কেস নিয়ে। বিভিন্ন জায়গায় ঘটে যাওয়া সাতটি রহস্যময় খুনের তদন্তের ভার পড়ে কবীরের ওপর। এই কাজে তার একজন সুদক্ষ হ্যাকারের প্রয়োজন। খোঁজ করতে করতে রেমো (আরিয়ান ভৌমিক) নামে এক হ্যাকারের সন্ধান পাওয়া যায় কালিম্পঙে।
যে মৃত্যু আজও রহস্য
কবীর তার সহকর্মী কৌশিককে কালিম্পঙে পাঠায় রেমোর খোঁজে। কিন্তু রেমো এই প্রস্তাব ফিরিয়ে দেয়। হাল ছাড়ে না কৌশিক। সে খুঁজে বার করে রেমোর জীবনের ইতিহাস এবং অবশেষে তাকে রাজি করাতে সক্ষম হয়।
রেমো কলকাতায় আসে আর শুরু করে তার আসল কাজ, হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে খুনের সূত্র খুঁজে বার করা। রেমো কি পারবে কবীরকে সাহায্য করে আসল খুনিকে খুঁজে বার করতে? রেমোর নিজের জীবনের সমস্যাগুলোর সমাধান হবে কিভাবে?
এইসব প্রশ্নের উত্তর দিতেই ১ মার্চ প্রেক্ষাগৃহে আসছে দ্য হ্যাকার। হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে এক ভয়ঙ্কর ষড়যন্ত্রের পর্দা ফাঁস করবে এই থ্রিলার ছবি।