মন সাফাই করার অভিযানে নামতে চলেছে ‘স্বচ্ছ ভারত’
কলকাতা: কিছুদিন আগেই দেশকে পরিস্কার রাখার জন্য ঝাড়ু হাতে অনেক গণ্যমান্য ব্যক্তিকে দেখা গিয়েছে ছবির জন্য পোজ় দিতে। কিন্তু শুধু রাস্তাঘাট পরিস্কার রাখলেই কি দেশটা সুন্দর হয়ে যাবে? সবচেয়ে আগে তো প্রয়োজন মানুষের মন সাফাই করা, তাকে পরিস্কার রাখা। দেশের মানুষ দুর্নীতিগ্রস্ত হলে দেশ কীভাবে সুন্দর হবে? এই বাস্তব ভাবনা থেকেই তাঁর পরবর্তী ‘স্বচ্ছ ভারত’-এ হাত দিলেন পরিচালক জিৎ চক্রবর্তী। ছবিতে বিভিন্ন ভূমিকায় থাকবেন শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়, শ্রীলেখা মিত্র, বিশ্বনাথ বসু, খরাজ মুখোপাধ্যায়, দর্শনা বণিক, অর্ণ মুখোপাধ্যায় ও বিক্রম দাস। সম্প্রতি ছবির আনুষ্ঠানিক ঘোষণায় পরিচালক ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অন্যান্য কলাকুশলীরা
‘স্বচ্ছ ভারত’-এর গল্প ইনকাম ট্যাক্স অফিসার অবনী সেনকে (শাশ্বত) নিয়ে। দুর্নীতিগ্রস্ত অবনী চাকরিক্ষেত্রে ক্রমশ উন্নতি করছে। অফিসে তার প্রতিপত্তি দেখার মতো, বসের চোখের মণি সে। ঘুষের পয়সায় বড়লোক হওয়া অবনী ব্যক্তিগত জীবনেও সুখী মানুষ। স্ত্রী ছন্দা (শ্রীলেখা) ও মেয়ে মামনকে নিয়ে তার সংসারে সমৃদ্ধি উপচে পড়ছে। ঘরে বাইরে অবনীর সুখ স্বাচ্ছন্দ্য দেখে তার সহকর্মী ও প্রিয় বন্ধু বিনয় (বিশ্বনাথ) মনে-মনে তাকে ঈর্ষাও করে।
আরও পড়ুন: পাকদণ্ডীর পথে পথে দেওরিয়াতাল
একদিন মামনের সামনে এক ব্যক্তি অবনীকে ঘুষ দিতে চাইলে সে মেয়ের চোখে নিজের সন্মানের কথা ভেবে সরাসরি প্রত্যাখ্যান করে। মামনের চোখে তার বাবা হিরো। এই ঘটনাটি আসলে ছিল একটি টেলিভিশন চ্যানেলের স্টিং অপারেশনের অঙ্গ। এরপর কী হয়, সেটাই দেখা যাবে ‘স্বচ্ছ ভারত’-এ।
আরও পড়ুন: তিন মূর্তি ও পায়ের তলায় সরষে
পরিচালকের আগের ছবি ‘শেষের গল্প’ ছিল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উপন্যাস ‘শেষের কবিতা’র ওপর ভিত্তি করে। সাহিত্যধর্মী গল্প নিয়ে ছবির পরে এরকম একটা গল্প কীভাবে মাথায় এলো? “আসলে এবার অন্য কিছু করব সেটা ভেবেই রেখেছিলাম। তাই স্যাটায়ারের মাধ্যমে একটা সামাজিক সমস্যাকে তুলে ধরতে চেয়েছি।”
ছবির কাহিনীকার Other ব্যাপারী। চিত্রনাট্য লিখেছেন বৃষ্ণী রায়চৌধুরী ও Other ব্যাপারী। সঙ্গীত হেঁসেল সামলেছেন জয় সরকার। ২৫ জানুয়ারি থেকে শুরু হতে চলেছে শুটিং।
এপ্রিলে মুক্তি পাবে ‘স্বচ্ছ ভারত’।