বেকারত্ব, হতাশা, উচ্চাকাঙ্ক্ষার ‘সর্ষেফুল’
RBN Web Desk: স্নাতক, স্নাতকোত্তর, বিএড, এমএড, পিএইচডি, ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে হাসপাতালের ‘ডোম’ পদে আবেদন করা থেকে শুরু করে শিক্ষকদের রাস্তায় বসে ধর্ণা দেওয়া কিংবা বিষ খেয়ে প্রতিবাদ করার মতো ঘটনা হলো আসলে সেই দেশের বা রাজ্যের আর্থসামাজিক পরিস্থিতির প্রতিচ্ছবি। চাকরি নেই কিন্তু রাজনীতি আছে, নির্বাচন আছে। রাজকোষ শূণ্য কিন্তু সরকারি প্রকল্প আছে। বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটেই শুরু হয় ‘সর্ষেফুল’-এর গল্প।
গোটা দেশের সমসাময়িক পরিস্থিতি মোটামুটি এক। হয় বেকারত্ব, নয় জীবিকার অনিশ্চয়তা বর্তমান প্রজন্মকে ঠেলে দিচ্ছে অন্ধকারে। ছবিতে এই প্রজন্মের প্রতিনিধি হিসেবে দেখতে পাওয়া যাবে সুমনকে। কলেজ থেকে পাশ করে চাকরির জন্য হন্যে হয়ে প্রায় ছয়-সাত বছর কাটিয়ে ফেলেছে সুমন। চাকরির পাতায় চোখ বুলিয়ে দরখাস্ত করা আর সপ্তাহে তিন-চারটে ইন্টারভিউ দেওয়ার পর যথারীতি বাড়ি ফিরে পাড়ার বন্ধুর চাকরির খবর পাওয়া, এই হলো সুমনের রোজনামচা। তবু এই দমবন্ধ জীবনের মধ্যেও সুমনের জীবনে দখিনা বাতাস হলো ইন্দ্রানীর ভালোবাসা।
আরও পড়ুন: নব্বইয়ের ‘সত্যান্বেষী’, বাদ পড়লেন ব্যোমকেশ
উত্তর কলকাতার পুরনো পাড়ায় সুমনের পরিবার প্রায় তিরিশ বছরের ভাড়াটিয়া। সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে স্কুল-কলেজের গণ্ডী পেরিয়ে, কোনওমতে একটা কাজ জুটিয়ে সংসারী হওয়া আর ষাটোর্ধ্ব বাবা-মায়ের দায়িত্ব নেওয়ার চিরাচরিত প্রথা মেনে সুমনের পরিবার এবং ইন্দ্রানী এখন তার চাকরি পাওয়ার দিকে তাকিয়ে। অভাবের সঙ্গে বোঝাপড়া করেই সুমন স্বপ্ন দেখে, একদিন উত্তর কলকাতার এই গলিপথ দিয়েই ধূলো উড়িয়ে চলে যাবে তার বিলাসবহুল গাড়ি। বৃষ্টিমাখা উত্তর কলকাতাকে সঙ্গে নিয়ে সুমন আর ইন্দ্রানীর হাত ধরে এগোবে ‘সর্ষেফুল’। সুমনের এই দিবাস্বপ্ন আদৌ সত্যি হবে নাকি অতিরিক্ত উচ্চাকাঙ্ক্ষাই তার জীবনে হতাশার কারণ হয়ে দাঁড়াবে?
‘সর্ষেফুল’-এর মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছেন সোমরাজ মাইতি। অন্যান্য চরিত্রে রয়েছেন পৃথা সেনগুপ্ত, কৌশিক চট্টোপাধ্যায় ও রুমকি চট্টোপাধ্যায়। চিত্রগ্রহণে জয়দীপ দে, সম্পাদনায় স্বর্ণাভ চক্রবর্তী। আবহ এবং সঙ্গীতের দায়িত্বে রয়েছেন শুভদীপ, ধ্বনি মিশ্রণে সৌম্য চট্টোপাধ্যায়।
আকাশ ৮-এর নতুন ডিজিটাল (ওটিটি) মাধ্যম ‘প্ল্যাটফর্ম৮’-এ আসছে সৌভিক মণ্ডলের পূর্ণদৈর্ঘ্যের ছবি ‘সর্ষেফুল’।