মল্লিকা সেনগুপ্তর উপন্যাস ‘শ্লীলতাহানীর পরে’ এবার বড় পর্দায়
কলকাতা: ভারতের মহিলা ও শিশুকল্যান মন্ত্রকের এক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৪ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে দেশে মহিলাদের যৌন হেনস্থার ঘটনা বেড়েছে প্রায় ৫৪ শতাংশ। তবে এ তো শুধু সরকারী পরিসংখ্যান। এর বাইরে এরকম অনেক ঘটনাই থেকে যায় চোখের আড়ালে। সামাজিক চাপ ও লোকলজ্জার ভয়ে এহেন হেনস্থার শিকার অনেক মহিলাই সামনে আসেন না, মানসিক বিপর্যয় মুখ বুজে সহ্য করে চলেন গোটা জীবন।
এরকমই একটি ঘটনা নিয়ে ১৯৯৬ সালে সাহিত্যিক মল্লিকা সেনগুপ্ত লিখেছিলেন তাঁর জনপ্রিয় উপন্যাস ‘শ্লীলতাহানীর পরে’। এবার সেই উপন্যাস অবলম্বনে একই নামের ছবি পরিচালনা করতে চলেছেন রেশমি মিত্র। সম্প্রতি শহরের এক পাঁচতারা হোটেলে হয়ে গেল এই ছবির মহরৎ। উপস্থিত ছিলেন ছবির সঙ্গে যুক্ত শিল্পী ও কলাকুশলীরা।
সংবাদমাধ্যমকে রেশমি জানালেন, “প্রায় দু’দশকেরও বেশি সময় আগে এই উপন্যাস লেখা হলেও, আমাদের দেশের সামাজিক চিত্রটা কিছুমাত্র বদলায়নি, হয়ত আরও খারাপের দিকে গেছে। আজকাল তো দুই বছরের শিশুকেও ধর্ষণের শিকার হতে হয়। আজও যৌন লাঞ্ছনার শিকার একজন মহিলাকে মুখ বুজে মেনে নিতে হয় অনেক কিছুই। কি সাংঘাতিক হতে পারে সেই মানসিক যন্ত্রণা, তাই নিয়েই এই ছবি। মল্লিকাদি প্রয়াত হন ২০১১ সালে। কিন্তু তাঁর উপন্যাসটা আজকের দিনে আরও বেশি করে প্রাসঙ্গিক।”
অভিনব নাট্যমেলায় আবাসনের শিল্পীরা
এই ছবিতে এক প্রবীণ রাজনৈতিক নেতা অমূল্য সান্যালের ভূমিকায় দেখা যাবে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে। এছাড়াও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে রয়েছেন শ্রীলা মজুমদার, অভিষেক চট্টোপাধ্যায়, রাহুল বন্দোপাধ্যায়, দেবলীনা কুমার, মৌবনী সরকার ও অন্যান্যরা।
তাঁর অভিনীত চরিত্র সম্পর্কে শ্রীলা রেডিওবাংলানেট-কে জানালেন, “এই ছবিতে একজন রাজনৈতিক কর্মী মন্দিরা রায়ের ভূমিকায় অভিনয় করছি আমি। মন্দিরা অমূল্যবাবুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে রাজনীতিতে আসে। হঠাৎই একদিন মন্দিরার সাংসারিক জীবনে একটা ঝড় বয়ে যায়। কিভাবে মন্দিরা সেই ঝড়টাকে সামাল দেয়, তাই নিয়েই এই ছবি।”
আগামী মাস থেকে শুরু হবে ‘শ্লীলতাহানীর পরে’র শ্যুটিং। কলকাতা ছাড়াও দীঘা ও বোলপুরে ক্যানবন্দী করা হবে এই ছবি।