আর খুব বেশি কাজ করব না: রঞ্জিত মল্লিক
কলকাতা: আশির দশকের মাঝামাঝি বাংলা ইন্ডাস্ট্রি যখন ধুঁকছে, কোনও ছবিই দর্শকের মন জয় করতে পারছে না, তখন প্রায় একার চেষ্টায় বক্স অফিসে বাজিমাত করেছিল ‘শত্রু’। বাংলা ছবির ইতিহাসে সর্বকালের অন্যতম সেরা হিট ছিল ‘শত্রু’। সেই ছবির কেন্দ্রিয় চরিত্র শুভঙ্কর সান্যালের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন রঞ্জিত মল্লিক। সেই শুভঙ্করের নাম নিয়েই ফিরছেন তিনি। তবে এবার শুভঙ্করের গায়ে পুলিশের উর্দি নয়, থাকবে কালো কোট। হাতে অবশ্যই থাকবে বেল্ট, যা একসময় তাঁর বহু ছবির চেনা দৃশ্য ছিল।
পরিচালক নেহাল দত্তের ছবি ‘অপরাজেয়’তে রঞ্জিত থাকছেন সেই পুরনো নামেই, তবে নতুন চেহারায়। এই ছবিতে তাঁকে দেখা যাবে এক আইনজীবীর চরিত্রে। ছবির অন্যান্য ভূমিকায় রয়েছেন সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়, লাবণী সরকার, মৃণাল মুখোপাধ্যায়, সুমিত গঙ্গোপাধ্যায়, ফাল্গুনী চট্টোপাধ্যায়, সায়ন বন্দোপাধ্যায়, গোপাল তালুকদার ও ওরিন। গতকাল শহরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন ছবির কলাকুশলীরা।
আরও পড়ুন: শেষের সেদিন, উপস্থিত ছিলেন শুধু মহেশ ও ড্যানি
১৯৭১ সালে তাঁর প্রথম ছবি ‘ইন্টারভিউ’-এর জন্য কারলভি ভ্যারি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা অভিনেতার পুরস্কার পেয়েছিলেন রঞ্জিত। তারপর গত অর্ধশতকে দেড়শোর বেশি ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। দীর্ঘদিন পর বড়পর্দায় দেখা যাবে রঞ্জিতকে। আবার কি নতুন ইনিংস শুরু করতে চলেছেন তিনি?
লাবণী সরকারের সঙ্গে
“খুব বেশি কাজ আর করব না,” রেডিওবাংলানেট-কে বললেন রঞ্জিত। “আমি চিরকালই বেছে ছবি করেছি। গল্প পছন্দ না হলে কোনওদিন ছবি করিনি। এখনও সেটাই করব। আগের মতো অত কাজ নিশ্চয়ই আর করব না। বছরে একটা বা দুটো ছবি করব এবার থেকে। একসময় ভালোবেসে প্রচুর কাজ করেছি। কিন্তু একটা পর্যায়ে এসে মনে হলো এবার কাজ একটু কমানো দরকার।”
ছবিতে নিজের অভিনীত চরিত্র সম্পর্কে তিনি জানালেন, “শুভঙ্কর আগেও প্রতিবাদী ছিল, আজও তাই। এখানে একটা সামাজিক অবক্ষয় দেখানো হয়েছে। চরিত্রটা নিয়ে নেহালের সঙ্গে আমার অনেক কথা হয়েছে। তরুণ মজুমদারের সহকারী হিসেবে কাজ করেছে নেহাল। তাই কাজটা ও জানে। ওকে বলেছিলাম ওর সঙ্গে কাজ করব। এই ছবিতে শুভঙ্কর একজন উকিল, সে অন্যায়ের সঙ্গে আপোষ করে না। কাজ করতে গিয়ে চরিত্রটা আমার ভালো লেগেছে।”