পুলুদার সঙ্গে শেষ কাজটাই চিরস্মৃতি হয়ে থাকবে: পরাণ বন্দোপাধ্যায়

RBN Web Desk: ১৯৬২ সালে সত্যজিত রায়ের ‘অভিযান’ দেখে মোহিত হয়ে যাঁকে জড়িয়ে ধরার স্বপ্ন দেখেছিলেন, পরবর্তীকালে সেই অভিনয়ের জন্যই স্বপ্নের অভিনেতাকে সহশিল্পী হিসেবে পেয়ে গেলেন। ‘শশীভূষণ সান্যাল’ আর ‘নিবারণ’-এর ‘দেখা’ হলো।

একই কলেজের ছাত্র, অগ্রজসম সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর প্রথম কাজ গৌতম ঘোষের ‘দেখা’ ছবিতে। এরপর একাধিক ছবিতে একসঙ্গে তাঁরা কাজ করেছেন। তাঁর অভিনয়ের প্রশংসা করে সৌমিত্র বলেছিলেন, এতদিনে হিংসে করার মতো একটা লোক পেলাম।

আর্টিস্টস ফোরাম আয়োজিত ‘মায়ানগরের ময়ূরবাহন’ স্মরণসভায় এভাবেই সদ্য প্রয়াত অভিনেতা, নাট্যব্যক্তিত্ব, নাট্য পরিচালক সৌমিত্রর স্মৃতি রোমন্থন করলেন পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।

আরও পড়ুন: সব কান্নার শব্দ হয় না, বেজে উঠল পটদীপ

“সেটা ১৯৫৫ সাল। সদ্য স্কুলের গণ্ডী পেরিয়ে কলেজে পা দিচ্ছি। আর উনি সেই একই কলেজ থেকে পাশ করে বেরিয়ে যাচ্ছেন। পরবর্তী সময়ে দূরত্ব ছিল। কারণ আমি তখন শুধুই থিয়েটার করি। আর উনি ততদিনে বাঙালির আইকন। আমার ধরাছোঁয়ার বাইরে,” জানালেন পরাণ।




“মহাকালের নিয়মে সবাইকে চলে যেতে হয়, কিন্তু আমি ওঁর এই চলে যাওয়াকে অস্বীকার করি। যেমন আমার মনে আমার মায়ের জীবন্ত ছবিটাই আমার শেষ স্মৃতি। পুলুদার (সৌমিত্র) সঙ্গে আমার করা শেষ কাজটাই আমার কাছে ওঁর চিরস্মৃতি এবং সেটাই চিরকাল থাকবে। তাই তিনি আমার কাছে চিরকাল লিভিং,” বললেন পরাণ।

দুজনের একসঙ্গে অভিনীত শেষ ছবি ‘বরুণবাবুর বন্ধু’।

ছবি: গার্গী মজুমদার

Amazon Obhijaan



Like
Like Love Haha Wow Sad Angry

Ankeeta

Sleep, travel, eat, repeat! Anchor, presenter, news reader, editor by profession. Long drives and exploring life are my favorite options. Stuck between food and fitness. Intoxicated by music. Painting, singing, photography and Rabindranath are my soulmates

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *