মুক্তি পেল ‘অবশেষের গল্প’
কলকাতা: ‘শেষের কবিতা’র সমাপ্তি হয়েছিল বিচ্ছেদে। অমিতের জীবনসঙ্গী হল কেতকী, আর লাবণ্যর হাত ধরল শোভনলাল। কিন্তু তারপর? রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এই উপন্যাসের চরিত্রগুলি কেমন ভাবে কাটাল তাদের জীবন? আবার যদি কোনওদিন তাদের দেখা হয়, কেমন হবে সম্পর্কের সমীকরণ? শেষের পরেও বাকি থেকে যায় অনেক কবিতাই। সেই কাহিনী শোনাতেই সম্প্রতি শহরে মুক্তি পেল অনঞ্জন মজুমদারের স্বল্পদৈর্ঘ্যের ছবি ‘অবশেষের গল্প’। পরিচালক ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন এই ছবির সঙ্গে যুক্ত শিল্পী ও কলাকুশলীরা।
অনঞ্জনের ছবি শুরু অমিত-লাবণ্যর ছাড়াছাড়ির পঁচিশ বছর পর যেখানে পরের প্রজন্মের দুই তরুণ-তরুণীর নতুন এক সম্পর্কের হাত ধরে উঠে আসছে রবীন্দ্রনাথের মূল উপন্যাসের চরিত্ররা।
ছবি সম্পর্কে পরিচালক সংবাদমাধ্যমকে জানালেন, “‘শেষের কবিতা’র মূল দুটি চরিত্র ছিল অমিত এবং লাবণ্য। বাকি দুটি চরিত্র—কেতকী ও শোভনলাল—সেই অর্থে কাহিনীর কেন্দ্রে ছিল না। আমার মনে হয়েছিল যে লাবণ্য ও কেতকীর মধ্যে একজন মানুষকে নিয়ে একটা ঠাণ্ডা লড়াই চলছে, কাহিনীর পরবর্তী অংশটা এইভাবে দেখা যেতে পারে। হয়ত এত বছর পর মূল উপন্যাসের চরিত্রগুলি তাঁদের সিদ্ধান্ত পূণর্মূল্যায়ন করতে চাইবে। সেই চিন্তাভাবনা থেকেই ‘অবশেষের গল্প’ লিখেছি আমি।”
বিশ্বনাথের বারাণসী, বারাণসীর বিসমিল্লাহ
এই ছবিতে শোভনলালের ভূমিকায় দেখা যাবে বাদশা মৈত্রকে। তিনি জানালেন, “আমার কাছে ছবির ভাবনাটা খুব ভালো লেগেছে। একটা উপন্যাস শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও তার চরিত্রগুলো কেমন আছে, এটা নিয়ে অনঞ্জন ভেবেছে, গল্পটাকে এগিয়ে নিয়ে গেছে। আর ‘শেষের কবিতা’ নিয়ে মানুষের আগ্রহ চিরকালীন। তাই ‘অবশেষের গল্প’ দর্শকের ভালো লাগবে বলেই আমার বিশ্বাস।”
লাবণ্যর চরিত্রে অভিনয় করেছেন অঞ্জনা বসু। সংবাদমাধ্যমকে অঞ্জনা জানালেন, “একটা উপন্যাস শেষ হয়ে গেলেও, তার চরিত্রগুলো আমাদের মধ্যে জেগে থাকে। পরবর্তীকালে তারা কি করল, সেটা আমরা ভাবতে থাকি। সেখান থেকেই ‘অবশেষের গল্প’ লেখা। লাবণ্যর মত একটা চরিত্রে কাজ করতে পেরে খুবই ভালো লাগছে।”