লন্ডনের বুকে মিষ্টি পুরাণ, উঠে এল বঙ্গ রসনার ঐতিহ্য
লন্ডন: সম্প্রতি বিলেতে ইন্ডিয়ান বেঙ্গলিজ় ইন ইউকে-এর উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল প্রথম মিষ্টি পুরাণ উৎসব। শহরের হ্যাম্পটন কম্যুনিটি হলে একদিনের এই মিষ্টি উৎসবে যোগ দেন ওয়াটফোর্ড, ফেল্টহাম, আইলওয়ার্থ, ব্রিস্টল, গ্লসেসটার, পিটারবোরো, হারলিংটন, হার্টফোর্ডশায়র, ও আরও অন্যান্য স্থান থেকে আগত প্রবাসী বাঙালিরা।
সংগঠনের কর্ণধার ডালিয়া সিংহ রেডিওবাংলানেট-কে জানালেন, “আমরা চাই ‘বাঙালি’ বলতে বিদেশের মানুষ বাংলাদেশের সাথে ভারতীয় বাঙালিদেরও চিনতে শিখুক। বাঙালি মানেই শুধু বাংলাদেশ নয়। বাঙালি মানে পশ্চিমবঙ্গ, এবং ভারতও।”
হারানো লেত্তি, হারানো লাট্টু
উৎসবে বেকড রসগোল্লা, ছানার জিলিপি, খাজা, মিষ্টি দই, ক্ষীরকদম, কমলাভোগ, মালপোয়া, গুড়ের পায়েস, বালুসাইের মত জনপ্রিয় মিষ্টির পাশাপাশি ছিল বিরল কিছু মিষ্টি যেমন গোলাপ পিঠে, গোকুল পিঠে, তেলের পীঠে, দুধপুলি, মধুরভোগ, নারকেল ছাপা এবং আরও অন্যান্য জিভে জল আনা খাবার। মিষ্টি খেয়ে ক্লান্ত হয়ে গেলে ছিল ঝালমুড়ি, আলুকাবলি, ফুচকার মত লোভনীয় ভিন্ন স্বাদের খাবারও। স্থানীয় ‘পোস্ত’ রেস্তরাঁ থেকে ছিল বাক্সভর্তি কড়াইশুঁটির কচুরি, আলুর দম ও সিঙারা।
বিশ্বনাথের বারাণসী, বারাণসীর বিসমিল্লাহ
এছাড়াও ছিল উপস্থিত জনগনের ভোটের মাধ্যমে শীর্ষস্থান দখলের প্রতিযোগিতা। ক্রেতাদের দেওয়া ভোটে ও মোট বিক্রির নিরিখে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান দখল করে নেন যথাক্রমে মধুমিতা চক্রবর্তীর ‘মধুর মিষ্টি’, পর্ণা রায়ের ‘মিষ্টিমুখ’, এবং মৌসুমি ঘোষের ‘মৌচাক’।
অক্লান্ত পরিশ্রম করে উৎসবের এই আয়োজন সম্পন্ন করেছেন বহ্নি মুখোপাধ্যায়, অন্বেষা গঙ্গোপাধ্যায় ও রাহুল বন্দোপাধ্যায়।
ডালিয়া জানালেন, “দিনের শেষে মিষ্টি ও চা বিক্রি করে আমাদের আয় ৫৯৫ পাউণ্ড। এছাড়াও অনলাইনে অনেকেই আর্থিক সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। মোট ১,০০০ পাউণ্ড সংগৃহিত অর্থ আমরা দান করব কর্কটরোগ চিকিৎসা সংক্রান্ত গবেষণা প্রকল্পে।”