শিল্ড হাতছাড়া গঙ্গাপদর, কীভাবে এগোবে গল্প?
RBN Web Desk: যন্ত্রপট্টির এক ছোট বাড়িতে স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে গঙ্গাপদর সংসার। বংশপরম্পরায় নামকরা পেশাদার ঢাকি গঙ্গাপদর গর্ব তার শিল্প। প্রত্যেক বছর গ্রামের ঢাক বাজানোর প্রতিযোগিতায় সে শিল্ড জেতে। কিন্তু এবার এক অজানা রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রতিযোগিতায় হেরে যায় গঙ্গাপদ। শিল্ড হাতছাড়া হয় তার। ডাক্তারের নির্দেশ আসে, সে আর ঢাক বাজাতে পারবেন না। দীর্ঘদিনের অভাবের কারণে ঋণেও জর্জরিত গঙ্গাপদ। ঋণ শোধ করতে না পারায় বাড়ির জমিজমা এবং তার ছোটমেয়ে যমুনার বোনের ওপর নজর পরে গ্রামের মহাজনের।
দুর্বল শরীরে রায়বাড়ির দুর্গাপূজায় ঠাকুরের চক্ষুদানের সময় ঢাক বাজাতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পরে গঙ্গাপদ। বন্ধ হয়ে যায় মায়ের চক্ষুদান, কারণ ঢাক ছাড়া এ কাজ অসম্ভব। এগিয়ে আসে যমুনা। কাঁধে তুলে নিতে চায় বাবার ঢাক। চক্ষুদান সে বন্ধ হতে দিতে পারে না। ঢাকের জমাটি আওয়াজে গমগম করে ঠাকুরদালান। কিন্তু একজন মেয়ে কীভাবে ঢাক বাজাতে পারে? রায়বংশে বাড়ির মহিলাদের বাদ্যযন্ত্র বাজানো নিয়ে এক ইতিহাস আছে। এককালে এই বাড়ির এক মহিলা সদস্যকে তবলা বাজানোর অপরাধে একঘরে করে দেওয়া হয়েছিল। তাই রায়বাড়ির অনেকেই মনে করেন, মহিলাদের বাদ্যযন্ত্র বাজানোর কোনও অধিকার নেই।
আরও পড়ুন: ঋষিকে হারিয়ে দিয়েছিলেন রাজেশ?
প্রতিবাদ করে ওঠে যমুনা। বলে, দেবী স্বরস্বতী যদি বীণা বাজাতে পারেন তাহলে সে কেন ঢাক বাজাতে পারবেন না? যে নারীশক্তি দেবীরূপে পূজিত হন, তাঁর প্রতি এত অবজ্ঞার দৃষ্টি কেন? এখান থেকেই শুরু হয় যমুনার নিজের অস্তিত্বের লড়াই। সে মনস্থির করে বাবার শিল্পকেই সে নিজের হাতে বাঁচিয়ে রাখবে।
বাংলা ধারাবাহিকের চেনা গতের বাইরে গিয়ে আজ থেকে শুরু হতে চলেছে ‘যমুনা ঢাকি’। চ্যানেল ও প্রযোজনা সংস্থার দাবি, নারী ক্ষমতায়নের পক্ষে জোরালো সওয়াল করবে এই ধারাবাহিক। ‘যমুনা ঢাকি’র নামভূমিকায় অভিনয় করছেন শ্বেতা ভট্টাচার্য। অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে রয়েছেন রুবেল দাস, কৌশিক বন্দ্যোপাধ্যায়, দেবযানী চট্টোপাধ্যায় ও কাঞ্চনা মৈত্র।