ত্রিকোণ প্রেমের কাহিনী নিয়ে ‘গানের ওপারে’

RBN Web Desk: স্কুলের গণ্ডি পেরিয়ে সদ্য ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে পা রাখা জয় ছুটি কাটাতে যায় তার কাকার বাড়ি। সেখানে পাড়ার এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সে প্রথমবার প্রিয়াকে দেখে। প্রথম দর্শনেই প্রেম বলতে যা বোঝায়, জয়েরও তাই হয়। খুড়তুতো ভাই রাকুলের সাহায্যে একদিন দেখাও হয় দুজনের। তবে প্রিয়া জানায় সে নিরুপায়, কারণ মা-বাবার পছন্দ করা পাত্রের সঙ্গে তার বিয়ে পাকা হয়ে আছে। তাদের অমতে প্রিয়ার পক্ষে কিছু করা সম্ভব নয়।

গল্পের মোড় ঘুরে যায় বছর তিনেক পর যেদিন জয় আর প্রিয়ার আবার দেখা হয়। অবশ্য এই দেখা হওয়ার মূলচক্রী ছিল জয়ের ভাই এবং প্রিয়ার এক ঘনিষ্ঠ বন্ধু। জয় প্রিয়াকে নিয়ে পালিয়ে যায়। স্বাভাবিকভাবেই গল্পে ঢুকে পড়েন পুলিশ অফিসার দিব্যেন্দু।

আরও পড়ুন: সব কান্নার শব্দ হয় না, বেজে উঠল পটদীপ

কিছুদিন পর বাড়ির পরিস্থিতি ঠিক হলে জয় এবং প্রিয়া ঠিক করে তারা ফিরে আসবে। ইতিমধ্যে পুলিশের হাতে দুজনে ধরা পড়ে। পুলিশের হাত থেকে জয়কে বাঁচাতে প্রিয়া মা-বাবার পছন্দ করা পাত্র কৌশিকের শর্তে রাজি হয়ে যায়। জয় ছাড়া পেলেও কিন্তু মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে। শেষ পর্যন্ত কোন দিকে বয়ে যায় জয়, প্রিয়া আর কৌশিকের জীবন? সেটাই শ্রীজিৎ দাসের ছবি ‘গানের ওপারে’র ক্লাইম্যাক্স। ছবির কেন্দ্রীয় চরিত্রে রয়েছেন সাহেব ভট্টাচার্য ও নবাগতা তিথি রায়

শ্রীজিৎ জানালেন, “স্কুল-কলেজের অপরিণত, ত্রিকোণ প্রেমের গল্প ‘গানের ওপারে’। এতে থাকছে সম্পর্কের টানাপোড়েনও।”

আরও পড়ুন: শেষ দৃশ্যে ভাঙা হোল্ডার, সত্যজিতের জয়জয়কার

সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে শ্রীজিতের ছবি ‘ওয়ার’। সেই প্রসঙ্গে পরিচালক জানালেন, “ছবিটি সপ্তম সপ্তাহে পা দিল। নতুন করে আংশিক লকডাউন হওয়ার আগে পর্যন্ত ৮০টিরও বেশি প্রেক্ষাগৃহে ছবিটা চলেছে। এরই মধ্যে আবার নতুন ছবির কাজে হাত দিতে পেরেছি, এটাই অনেক। আমার ছবি যে দর্শকদের ভালো লাগছে, এটা থেকেই বুঝতে পারছি। আশা করি ‘গানের ওপারে’ও দর্শক গ্রহণ করবেন।”

তিথি জানালেন, “ছবিতে আমার চরিত্রের নাম প্রিয়া। সে পরিবারের চাপে আত্মত্যাগ করে। প্রথমবার সাহেবের সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে অনেক কিছু শিখছি। তবে কখনও মনে হচ্ছে না যে এটাই আমার প্রথম ছবি। সব মিলিয়ে এই ছবিতে কাজ করার অভিজ্ঞতাটা খুবই ভালো।”

সাহেব এবং তিথি ছাড়াও অন্যান্য চরিত্রে রয়েছেন ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়, সঞ্জীব সরকার, ইন্দ্রনীল, সিমরন এবং কৌশিকী। এছাড়াও একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে রয়েছেন অনিন্দ্য পুলক বন্দ্যোপাধ্যায়।

আরও পড়ুন: পাকদণ্ডীর পথে পথে দেওরিয়াতাল

অনিন্দ্য জানালেন, “পুলিশ যেখানে থাকে সেখানে অপরাধ তো থাকবেই। আর এর সঙ্গে একটু রাজনীতিরও যোগসূত্র আছে। নতুন প্রজন্মের পরিচালকরা এরকম সব গল্পের কথা ভাবছে যেখানে প্রেম, বিরহ, অপরাধ সাথে রাজনীতিও থাকছে। বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতে কিছু পরিচালক আছেন যাঁরা দক্ষিণী ছবি কপি করেন বা কোনও সাহিত্যনির্ভর ছবি করেন। পরিবর্তে শ্রীজিতের মতো যারা মৌলিক গল্প নিয়ে কাজ করছেন, তাঁদের এই উদ্যোগ আমার খুব ভালো লাগে।” মৌলিক গল্পই বাংলা ছবিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে আশাবাদী অনিন্দ্য।

ছবিতে গানের বিরাট ভূমিকা রয়েছে। ছবির সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন ইন্দ্রনীল। তিনি জানালেন, “সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে এটাই আমার প্রথম কাজ। তাই এই ছবিটা আমার কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ। ছবিতে পাঁচটা গান রয়েছে আর সবকটাই ভিন্ন ধরণের।”

ছবির চিত্রনাট্য লিখেছেন অর্ণব ভৌমিক এবং চিত্রগ্রহণে রয়েছেন শুভদীপ নস্কর।



Like
Like Love Haha Wow Sad Angry

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *