ছায়ানট-এর শতকণ্ঠে নজরুল
সম্প্রতি কলকাতা প্রেস ক্লাবে ছায়ানট (কলকাতা) শতকণ্ঠে ‘কারার ঐ লৌহকপাট’ এবং ‘দুর্গম গিরি, কান্তার-মরু’ – এর সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করে। পরিকল্পনা ও পরিচালনায় ছিলেন ছায়ানট (কলকাতা) – এর সভাপতি সোমঋতা মল্লিক। বিশেষ সহযোগিতায় অনুভব পর্ণশ্রী সাংস্কৃতিক ও সমাজ উন্নয়নমূলক সংস্থা। আপামর বাঙালির প্রাণের কবি কাজী নজরুল ইসলামের চতুর্থ মুদ্রিত কাব্যগ্রন্থ ‘ভাঙার গান’ – এর শতবর্ষে, ছায়ানট (কলকাতা) – এর বিনম্র শ্রদ্ধার্ঘ্য ‘শতবর্ষে ভাঙার গান’ নামাঙ্কিত মূল্যবান ক্যালেন্ডারটি এই অনুষ্ঠানে প্রকাশিত হয়। এই ক্যালেন্ডারের প্রতিটি পাতায় থাকছে ‘ভাঙার গান’ সম্পর্কিত মূল্যবান তথ্য , সাথে নজরুলের জীবনের বিভিন্ন বয়সের অসাধারণ সব ছবি। মূল ভাবনা ও তথ্য-সংগ্রহে সোমঋতা মল্লিক।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভারতের প্রাক্তন সাংসদ ও পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু কমিশনের চেয়ারম্যান এবং পুবের কলম পত্রিকার সম্পাদক আহমদ হাসান ইমরান এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবর্ণ রায় চৌধুরী পরিবার পরিষদ -এর সম্পাদক ও সাবর্ণ সংগ্রহশালার কিউরেটর দেবর্ষি রায় চৌধুরী ও পাকড়াশি হারমোনিয়ামের কর্ণধার শুভজিৎ পাকড়াশি। অনুষ্ঠানে শতকণ্ঠে নজরুলের দেশাত্মবোধক গানে অংশগ্রহণকারী দলগুলিকে শুভেচ্ছা স্মারক প্রদান করা হয়। ছায়ানট (কলকাতা) – এর সদস্যরা কাজী নজরুল ইসলামের বিভিন্ন স্বাদের কবিতা পাঠ করেন। অনুভব পর্ণশ্রীর শিল্পীরা শেখর দে -এর পরিচালনায় ‘ভাঙার গান’ এবং ‘কাণ্ডারী হুঁশিয়ার’ সমবেতভাবে পরিবেশন করেন। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন শেখর দে।
শতকণ্ঠে নজরুলের অংশগ্রহণকারী দলের মধ্যে থাকছে বিষের বাঁশী, অনুভব পর্ণশ্রী, মৃত্তিকা, সোদপুর সুজলম সোসাইটি, প্রদীপন, গীতিলোক সেন্টার ফর পারফর্মিং আর্টস, মঞ্জরী, ভোরের আলো, ইমন কল্যাণ, গীতলেখা, কলাবতী সঙ্গীত বিদ্যালয়, উত্তরপাড়া লহরা, হৃদমাঝারে, গীতিকুঞ্জ, মূর্চ্ছনা, নিউটাউন সুর- ঝঙ্কার এহং আমরা আলাপিনী।
আগামী একমাসের মধ্যে শতকণ্ঠে ‘কারার ঐ লৌহকপাট’ এবং ‘দুর্গম গিরি, কান্তার-মরু’ কলকাতার নেতাজি ভবন, আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা, আলিপুর মিউজিয়াম, পার্ক সার্কাস মিলন মেলা, ইন্ডিয়ান মিউজিয়াম, পূর্বাচল কাজী নজরুল ইসলাম শিশু উদ্যান, রবীন্দ্র সদন চত্বরে রাণু ছায়া মঞ্চ-এ অনুষ্ঠিত হবে।
সোমঋতা মল্লিক বলেন, “এই বছর আমরা উদ্যাপন করব আমাদের প্রাণের কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৫তম জন্মবার্ষিকী। তাই শুধুমাত্র ৫/৬টি অনুষ্ঠান নয়, বছরব্যাপী আমরা কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় শতকণ্ঠে নজরুলের দেশাত্মবোধক গানের অনুষ্ঠান করব। সবাই যেভাবে আমাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন, আমরা সত্যিই আপ্লুত। যদিও আমরা শতকণ্ঠের কথা উল্লেখ করেছি, কিন্তু প্রায় ২৫০ জন শিল্পী আমাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। এভাবে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে আমরা নজরুল চর্চাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।”