২২ বছর পর ‘প্রিয় বন্ধু’র নস্ট্যালজিয়া ফেরাতে চলেছেন অঞ্জন
RBN Web Desk: নব্বই দশকের শেষের দিকে বোধহয় এমন কোনও কৈশোর পেরোনো শহুরে ছেলেমেয়ে ছিল না যে ‘প্রিয় বন্ধু’ শুনে মুগ্ধ হয়নি। সে সময়ে শহুরে কালচারে অভ্যস্ত বাঙালি ছেলেমেয়েরা বিদেশী গানের পাশাপাশি বাংলা ব্যান্ডের গানে বুঁদ। এই দুই ধরণের গানের সঙ্গে স্কুলজীবনের বন্ধুত্বের এক অভিনব গল্পকে জুড়ে তৈরি হয়েছিল শ্রুতিনাটক ‘প্রিয় বন্ধু’। নেপথ্যে ছিলেন অঞ্জন দত্ত ও বাংলাদেশের নিমা রহমান। সেই নাটকের গানগুলি ছিল বাংলা ব্যান্ড পরশপাথর ও অঞ্জনের কণ্ঠে।
দুই বন্ধুর একে অপরকে লেখা কিছু চিঠি আর গানের কোলাজ দিয়ে তৈরি শ্রুতিনাটকটি কমবয়সীদের মধ্যে তুমুল জনপ্রিয়তা লাভ করে। আসমা চৌধুরী জয়িতা ওরফে জয়ী আর অর্ণব চ্যাটার্জী ওরফে ন্যাবার বন্ধুত্ব ও ভালোবাসার কাহিনী যারা একবার শুনেছে তারা আজও ভুলতে পারেনি সেই মনখারাপ করা নস্ট্যালজিয়াকে। তারপরে কেটে গেছে বাইশটা বছর। গঙ্গা আর শীতলক্ষ্যা দিয়ে বয়ে গেছে অনেক জল। এতদিন পরে কেমন আছে জয়িতা আর অর্ণব? এখনও কি তারা একে অপরকে চিঠি লেখে?
দু’দশক পার করে সেই ‘প্রিয় বন্ধু’র নস্ট্যালজিয়া ফেরাতে চলেছেন অঞ্জন। এবারের নাম ‘প্রিয় বন্ধু আবার’। এত বছর পর সেই দুই বন্ধু কেমন আছে, কোথায় আছে তাই নিয়েই এবারের নাটক ও গান বেঁধেছেন অঞ্জন ও নীল দত্ত।
আরও পড়ুন: যন্তর মন্তর কক্ষের নেপথ্যে
‘প্রিয় বন্ধু আবার’ নিয়ে অঞ্জন জানালেন, “করোনা পরিস্থিতিতে এখন ডিজিটাল মাধ্যমে অনুষ্ঠান করতে হচ্ছে। অনেকেই গান করছেন। কিন্তু তার চেয়েও ইন্টিমেট কিছু করার কথা ভাবতে গিয়ে আমার শ্রুতিনাটকের কথা মনে এলো। ‘প্রিয় বন্ধু’ নিয়ে একটা সময় বহু মানুষ বড় হয়েছে, তারা মনে রেখেছে অর্ণব আর জয়িতাকে। তারা নিশ্চয়ই জানতে চাইবে ওরা এখন কোথায় আছে, বেঁচে আছে কিনা। সারা পৃথিবীতে ‘প্রিয় বন্ধু’কে ভালোবাসার মানুষ রয়েছেন, তাদের জন্যই নতুনরূপে এই নাটককে ফিরিয়ে আনা।”
সাতটা গান থাকছে এবার, সঙ্গে থাকবে অজস্র চিঠি। তবে হাতে লেখা চিঠির বদলে সেটা হবে ইমেল ও টেক্সট মেসেজ। অঞ্জন আর নীল মিলে পুরো অনুষ্ঠানটা করবেন। ‘প্রিয় বন্ধু আবার’ শ্রোতাদের ভালো লাগার ব্যাপারে আশাবাদী অঞ্জন।
৩০ আগস্ট রাত ৮টায় নাটকটির প্রিমিয়র হবে কার্পে দিয়েমের ‘বাড়ি থেকে অঞ্জন ও নীল’ অনুষ্ঠানে মাধ্যমে।