কোরাসে গাইতে বারণ করেছিলেন কিশোর কুমার: জলি মুখার্জী
কলকাতা: কোরাসে নয়, প্রতিষ্ঠা পেতে একক শিল্পী হিসেব তাঁকে সঙ্গীতচর্চার উপদেশ দিয়েছিলেন কিশোর কুমার, এমনটাই জানালেন জলি মুখার্জী। গতকাল শহরে তাঁর সঙ্গীত জীবনের ৩৩ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে এক অনুষ্ঠানে স্মৃতিতে ডুব দিয়ে জলি তুলে আনলেন এরকম নানা কথা।
১৯৮৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত টিনু আনন্দের ‘শাহেনশাহ’ ছবিতে ‘অন্ধেরী রাতো মে, সুনসান রাহো পর’ গানটি গেয়েছিলেন জলি। সেই সময় কোনও কণ্ঠশিল্পীকে দিয়ে সঙ্গীত তৈরী করার সময় গান রেকর্ড করানো হত। পরে সেই রেকর্ডিং শুনে মূল প্লেব্যাক শিল্পী গানটি ডাবিং করতেন। ‘অন্ধেরী রাতো মে, সুনসান রাহো পর’-এর ডাবিং করতে এসে কিশোর জানতে চান গানটি কে গেয়েছ। সেই ছবির সঙ্গীত পরিচালক অমর-উৎপল জানিয়েছিলেন গানটি জলির গাওয়া। তার আগে কোরাসে গাইতেন জলি। তাঁকে ডেকে কিশোর বলেছিলেন এবার থেকে একক শিল্পী হিসেবে নিজের কেরিয়ার গড়ে তুলতে।
আরও পড়ুন: ফাঁকা ক্রেডেলের সামনে কোয়েল, রহস্য উন্মোচন চৈত্রে
‘শাহেনশাহ’র পর সেই বছরেই মুক্তিপ্রাপ্ত ফিরোজ় খানের ‘দয়াবান’ ছবিতে, লক্ষ্মীকান্ত-প্যারেলালের সঙ্গীত পরিচালনায় ‘চাহে মেরি জান তু লে লে’ গানটি গেয়ে একক শিল্পী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন জলি। “রেকর্ডিংয়ের পর লক্ষ্মীকান্তজী বলেছিলেন, এই গানটা এতটাই বিখ্যাত হবে যে সারা জীবন আমাকে এটা গাইতে হবে,” বললেন জলি।
অনুষ্ঠানে ‘চাহে মেরি জান তু লে লে’, ‘চাঁদনী, ও মেরি চাঁদনী’ (চাঁদনী), ‘ইয়ে শহর হ্যায় অমন কা’ (রাজ়), ‘সুন ও হাসিনা’ (সঙ্গীত) ও আরও অন্যান্য গান গেয়ে শোনালেন জলি। তাঁর সঙ্গে দ্বৈত সঙ্গীতে গলা মেলালেন প্রিয়াঙ্কা মিত্র।
ছবি: মানিক মণ্ডল