দর্শক শিউরে উঠুক, এটাই চেয়েছিলাম: অনিন্দিতা

কলকাতা: তাঁর নতুন ছবি ‘এভরি সিক্সটি এইট মিনিটস’ দেখে দর্শক শিউরে উঠুক, এমনটাই চেয়েছিলেন পরিচালক অনিন্দিতা সর্বাধিকারী। গতকাল শহরে এই ছবির এক বিশেষ প্রদর্শনীর পর সংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন অনিন্দিতা ও অভিনেত্রী রিচা শর্মা। ছবির কেন্দ্রীয় চরিত্র বৈদেহীর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন রিচা।

ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী ভারতে প্রতি ৬৮ মিনিটে কোনও মহিলা গার্হস্থ্য হিংসার শিকার হন। এই বিষয় নিয়েই ৪০ মিনিট দৈর্ঘ্যের ‘এভরি সিক্সটি এইট মিনিটস’ পরিচালনা করেছেন অনিন্দিতা।

ছবিতে উচ্চশিক্ষিত বৈদেহীর বিয়ে ঠিক হয় হিতেনের (টোটা) সঙ্গে। কিন্তু বিয়ের আসরেই হিতেনের নতুন গাড়ি কেনার জন্য ১০ লক্ষ টাকা দাবি করে বসে তার বাবা (ভরত)। সাময়িকভাবে দুই লক্ষ টাকা দিতে রাজি হন বৈদেহীর বাবা (আদিল)। বিয়ের পর বৈদেহীর ওপর বিভিন্ন দাবিতে মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার চালাতে থাকে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এমনকি হিতেনের দিদি-জামাইবাবুও এতে সামিল হন। পুড়িয়ে ফেলা হয় বৈদেহীর পিএইচডি’র সমস্ত কাগজপত্র। অমানুষিক অত্যাচারের মুখে শেষ পর্যন্ত আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় বৈদেহী। বন্ধ ঘরের দরজা ভেঙে বৈদেহীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

আরও পড়ুন: পাকদণ্ডীর পথে পথে দেওরিয়াতাল

“আমাদের মধ্যে অনেকেরই একটা ভ্রান্ত ধারণা আছে যে কেবলমাত্র সমাজের নিম্নবর্গের মহিলারাই গার্হস্থ্য হিংসার শিকার হন। সেই ধারণাটাই আমি ভাঙতে চেয়েছি। উচ্চমধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়েরাও সমানভাবে ভুক্তভোগী। তাঁরা পণের দাবী, কন্যাভ্রূণ হত্যা ও বিবাহিত জীবনে ধর্ষণের শিকার হন। সেটা যে কোন পর্যায়ে যেতে পারে, আমরা ভাবতেও পারি না। মেয়েটির বাড়ির তরফ থেকেও ‘সব ঠিক হয়ে যাবে’ গোছের আশ্বাস দেওয়া হয়,” বললেন অনিন্দিতা।

ছবির অন্যান্য চরিত্রে রয়েছেন আদিল হুসেন, টোটা রায়চৌধুরী, ভরত কল ও লাবণী সরকার। একটি বিশেষ চরিত্রে রয়েছেন চন্দন সেন। ছবির সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন বিক্রম ঘোষ।

“মনোরঞ্জনের জন্য আমি এই ছবিটা তৈরি করিনি,” বললেন অনিন্দতা। “সেই অর্থে ‘এভরি সিক্সটি এইট মিনিটস’ অত্যন্ত নিষ্ঠুর। আমি চেয়েছিলাম এই ছবি দেখে দর্শক শিউরে উঠুক, তাঁদের অস্বস্তি হোক।”

নারীকেন্দ্রিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে একটি সিরিজ় করার চিন্তাভাবনাও তাঁর আছে বলে জানালেন অনিন্দিতা।

Amazon Obhijaan



Like
Like Love Haha Wow Sad Angry

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *